এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ

Reporter Name / ৬ Time View
Update : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫


বঙ্গোপসাগর থেকে ৬৫ মণ ইলিশ মাছ নিয়ে পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি মাছ ধরা ট্রলার

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স খান ফিস নামে একটি আড়তে নিয়ে আসলে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায়। মাছগুলো গতকাল কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফবি সাদিয়-২ নামে মাছ ধরা ট্রলারটি গত ৯ জুলাই আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। পরশু ও গতকাল সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।

মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি আকারে আলাদা করা হয়। ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের মাছ মণ প্রতি ৯৫ হাজার টাকা, ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতি মণ ৭০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ মাছ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ১ লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে।

ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন জানান, ৯ জুলাই আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছি বহুবার। এই প্রথম ভালো পরিমাণে মাছ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।

খান ফিসের ম্যানেজার মোঃ সাগর ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। বৈরী আবহাওয়া জেলেরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকশান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবে জেলেরা।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা লোকসানে জর্জরিত হয়েছেন। কিছুদিন ধরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছে। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাবে বলে আশা করা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/