বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমন্বিত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে দেশটির নিরাপত্তা ইস্যুসহ নানা কৌশলগত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনায় “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আলোচনার প্রাথমিক পর্যায়ে নিরাপত্তা, কৌশলগত সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক অংশীদারত্বের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর আলোচনার পরবর্তী ধাপে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বিষয়াবলি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজিত হয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর এবং রাজস্ব খাতকে অধিকতর গতিশীল করতে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির উদ্যোগে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান।
ফাওজুল কবির বলেন, “আমেরিকার কিছু কৌশলগত বিষয়ের মধ্যে নিরাপত্তা এবং অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্ক বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এসব বিষয়কে চুক্তির আওতায় আনতে তারা একটি ফ্রেমওয়ার্ক চাচ্ছে।”
তিনি জানান, আলোচনার ট্যারিফ অংশে যুক্তরাষ্ট্র তাদের শুল্ক প্রস্তাব দেবে এবং বাংলাদেশও তার পক্ষে মতামত উপস্থাপন করবে। আর নন-ট্যারিফ বাধাসমূহ—যেমন মান নিয়ন্ত্রণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কিংবা প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত বাধা—দূর করতে কী করা যেতে পারে, সেটিও আলোচনা হবে। সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এলএনজি আমদানির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, “সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হচ্ছে। যেমন এক্সিলারেট এনার্জি এবং শেভরনের সঙ্গে আমাদের কাজ চলছে।”
সবশেষে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলমান, এবং আশা করা যাচ্ছে ১ আগস্টের আগেই এই আলোচনা প্রক্রিয়ার একটি চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব হবে।
https://slotbet.online/