বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, একটি চক্র গোপালগঞ্জের ঘটনা ও সোহাগ হত্যার মতো ঘটনার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত ও বিপন্ন করে দেশে আবার জরুরি অবস্থা জারি করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। যারা দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধ্বংস করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর রায়পুরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ডা. সজীব সরকারের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে জুমার নামাজের পর শহীদ ডা. সজীব সরকারের কবর জিয়ারত এবং সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা বিএনপি নেতারা।

খায়রুল কবির খোকন আরও বলেন, অত্যাচার, অবিচার, নিপীড়ন, গুম ও হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা একটি মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। কোনো অবস্থাতেই যেন শহীদের রক্ত বৃথা না যায়। যারা আন্দোলন করে আমাদের মুক্ত করে দিয়েছে, তাদের যথাযথ সম্মান দেখাতে হবে। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, অথচ দশ মাস কেটে গেছে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার ইঙ্গিত দেন, তখন জনগণ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু এতে কয়েকটি দলের মাথা বিগড়ে যায়।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন: নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য জামাল আহমেদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদল সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম বাদল, জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, রিয়াদ বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক শামীম, রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ভূঁইয়া মোহন, জেলা বিএনপির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও রায়পুরা পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কুদ্দুস, যুব বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল হায়দার, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াস আলী ভূঁইয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোকারম হোসেন ভূঁইয়া, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আ. রউফ ফকির রনি, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনন্দ, বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।