মুজিববাদ কি; এ নিয়ে এতো আলোচনা কেন!

Reporter Name / ২১ Time View
Update : শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫


লেখক, সাংবাদিক খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস ছিলেন কলকাতায় শেখ মুজিবের সহপাঠী, রাজনীতিতে সহযোদ্ধা। পরবর্তীতে ২০২১ সালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বইটির পুনর্মুদ্রণ করা হয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর দলের ভিতরে এবং সরকার প্রধান শেখ হাসিনার বক্তব্যে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ’ ভিত্তিক রাষ্ট্রচিন্তা ঘন ঘন উচ্চারিত হতে থাকে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ ঘোষিত দলের গঠনতন্ত্রে প্রথমবারের মতো “মুজিববাদ” শব্দটি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়। যেখানে মুজিববাদকে দলীয় আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের কথিত মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলম ১৫ অক্টোবর ‘মুজিববাদ’কে নতুন করে সামনে নিয়ে আসেন। স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন ‘যাদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নাই গণহত্যা নিয়ে, তাদের সাথে নো রিকন্সিলিয়েশন (পুনর্মিলন)। আগে বিচার, তারপর সমঝোতা। মুজিববাদের বিরুদ্ধে এবার হবে প্রত্যাঘাত। খুনিদের ক্ষমা নাই। খুনিদের আদর্শের ফেরিওয়ালাদের ক্ষমা নাই।’

মাহফুজ আলমের এই স্ট্যাটাসের পর বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা-কর্মীরা ‘মুজিববাদ‘ নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন।

এর আগে, ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমান এক সামরিক আদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে রাষ্ট্রের ওই চার মূলনীতির অংশটি পরিবর্তন করেছিল।
এছাড়াও মুখবন্ধে ‘জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের’ শব্দবন্ধটি ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় তখন।

এরপর ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সংসদের মাধ্যমে ওই প্রস্তাবনাটি সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়, যা পঞ্চম সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ শব্দ চালু করা। একই সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতার বদলে ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” সংবিধানে যুক্ত করা হয়। এবং ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।

২০১০ সালের ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। একইসঙ্গে সংবিধানকে পঞ্চম সংশোধনীর আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

২০১১ সালের ৩০ জুন, দীর্ঘ তিন যুগ পর এই চার নীতি ফের সংবিধানে যুক্ত করা হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, ২০১১-এ বাহাত্তরের সংবিধানের এই সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি ফিরিয়ে আনা হয়।

এনসিপি নেতারা মুজিববাদকে একনায়কত্ব বা দলীয়করণ হিসেবে চিহ্নিত করে এর সমালোচনা করেন। একই সাথে এই মতবাদ মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। তারা, বিগত সরকারের প্রনয়ন করা সংবিধান নতুন করে রচনার দাবি তুলেছে।

লেখক, সাংবাদিক খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস ছিলেন কলকাতায় শেখ মুজিবের সহপাঠী, রাজনীতিতে সহযোদ্ধা। পরবর্তীতে ২০২১ সালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বইটির পুনর্মুদ্রণ করা হয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর দলের ভিতরে এবং সরকার প্রধান শেখ হাসিনার বক্তব্যে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ’ ভিত্তিক রাষ্ট্রচিন্তা ঘন ঘন উচ্চারিত হতে থাকে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ ঘোষিত দলের গঠনতন্ত্রে প্রথমবারের মতো “মুজিববাদ” শব্দটি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়। যেখানে মুজিববাদকে দলীয় আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের কথিত মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলম ১৫ অক্টোবর ‘মুজিববাদ’কে নতুন করে সামনে নিয়ে আসেন। স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন ‘যাদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নাই গণহত্যা নিয়ে, তাদের সাথে নো রিকন্সিলিয়েশন (পুনর্মিলন)। আগে বিচার, তারপর সমঝোতা। মুজিববাদের বিরুদ্ধে এবার হবে প্রত্যাঘাত। খুনিদের ক্ষমা নাই। খুনিদের আদর্শের ফেরিওয়ালাদের ক্ষমা নাই।’

মাহফুজ আলমের এই স্ট্যাটাসের পর বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা-কর্মীরা ‘মুজিববাদ’ নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন।

এর আগে, ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমান এক সামরিক আদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে রাষ্ট্রের ওই চার মূলনীতির অংশটি পরিবর্তন করেছিল।
এছাড়াও মুখবন্ধে ‘জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের’ শব্দবন্ধটি ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় তখন।

এরপর ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সংসদের মাধ্যমে ওই প্রস্তাবনাটি সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়, যা পঞ্চম সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ শব্দ চালু করা। একই সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতার বদলে ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” সংবিধানে যুক্ত করা হয়। এবং ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।

২০১০ সালের ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। একইসঙ্গে সংবিধানকে পঞ্চম সংশোধনীর আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

২০১১ সালের ৩০ জুন, দীর্ঘ তিন যুগ পর এই চার নীতি ফের সংবিধানে যুক্ত করা হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, ২০১১-এ বাহাত্তরের সংবিধানের এই সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি ফিরিয়ে আনা হয়।

এনসিপি নেতারা মুজিববাদকে একনায়কত্ব বা দলীয়করণ হিসেবে চিহ্নিত করে এর সমালোচনা করেন। একই সাথে এই মতবাদ মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। তারা, বিগত সরকারের প্রনয়ন করা সংবিধান নতুন করে রচনার দাবি তুলেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/