জুলাইয়ের ২৬ দিনেও রেমিট্যান্স শূন্য নয় ব্যাংক

Reporter Name / ৪৫ Time View
Update : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫


চলতি জুলাই মাসের প্রথম ২৬ দিনে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্সে বেশ কিছু ব্যাংকের পারফরম্যান্স হতাশাজনক বলে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে। তথ্য অনুযায়ী, মাসের এই ২৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন মোট ১৯৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স। তবে এই বিপুল অর্থের মধ্যেও ৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এই ৯টি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ব্যাংক এবং ৩টি বিদেশি ব্যাংক। অর্থাৎ সব ধরনের ব্যাংকিং খাত থেকেই প্রতিষ্ঠান রয়েছে রেমিট্যান্স শূন্য তালিকায়। বিষয়টি রেমিট্যান্স আহরণে তাদের অদক্ষতা, অপ্রসারিত চ্যানেল নেটওয়ার্ক এবং কার্যকর উদ্যোগের ঘাটতির প্রতিচ্ছবি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি:

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক:

বিশেষায়িত ব্যাংক:

বেসরকারি ব্যাংক:

  • কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

  • সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি

  • আইসিবি ইসলামী ব্যাংক

  • পদ্মা ব্যাংক পিএলসি

বিদেশি ব্যাংক:

  • হাবিব ব্যাংক

  • ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান

  • স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগই বিদেশে কার্যকর প্রতিনিধি বা এক্সচেঞ্জ হাউস গঠন করতে পারেনি, আবার অনেকে রেমিট্যান্স প্রণোদনার যথাযথ প্রচার ও প্রক্রিয়া তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়েছে। ফলে প্রবাসীরা অন্যান্য ব্যাংক কিংবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে বেশি আগ্রহী হয়েছেন।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে কিছুটা ইতিবাচক ধারায় থাকলেও সামগ্রিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ স্থিতিশীল নয়। হুন্ডি ও অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের সক্রিয়তা, ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহ ও প্রস্তুতির অভাব, এবং ডলারের অনানুষ্ঠানিক বাজারে উচ্চমূল্য—এসব বিষয় এখনো রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় বাধা হয়ে আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ব্যাংককে আরও বেশি এজেন্ট নিয়োগ, ডিজিটাল রেমিট্যান্স অ্যাপ চালু এবং প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ অফার চালুর তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু তারপরও একাধিক ব্যাংকের শূন্য পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগ তৈরি করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের ব্যর্থ ব্যাংকগুলোকে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। যদি দীর্ঘমেয়াদেও তারা এ খাতে কার্যকর অবদান রাখতে না পারে, তাহলে নীতিগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/