নির্বাচনী মাঠে থাকবে ৬০ হাজার সেনা

Reporter Name / ১৭ Time View
Update : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় ৬০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ পাবে দেড় লাখ পুলিশ সদস্য

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নির্বাচন প্রস্তুতি পর্যালোচনা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, “সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৬০ হাজার ট্রুপস নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে তাদের বিচারিক ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি) দেওয়া হয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে।”

নির্বাচন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বৈঠকে। একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন সময়কে কেন্দ্র করে ভুয়া তথ্য ও অপপ্রচার মোকাবিলায় একটি ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার গঠনের কথাও জানানো হয়।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “ইতোমধ্যেই নির্বাচনের আগে নানা রকম অপপ্রচার এবং ভুয়া তথ্য ছড়ানো শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এটি আরও বাড়বে। তাই দ্রুত তথ্য যাচাই এবং বিভ্রান্তি রোধে আমরা একটি ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা করছি।”

এদিকে নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রেস সচিব।

নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকল বাহিনীর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/