মানবাধিকার কমিশনের অফিস, জাতীয় অখণ্ডতার হুমকি

Reporter Name / ৪৯ Time View
Update : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫


ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এই ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাংবিধানিক ও নৈতিক অধিকার নেই। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই চুক্তি স্বাক্ষর করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস সংক্রান্ত চুক্তিকে কেন্দ্র করে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলা হলে তার অপব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে মানবাধিকারকে পুঁজি করে যদি দেশের অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা হয়, সেটি অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। প্যালেস্টাইন, গাজা বা আরাকানে মুসলমানদের উপর চলমান নিপীড়নের সময় জাতিসংঘকে সক্রিয় দেখা যায় না। অথচ বাংলাদেশে তারা তৎপর হতে চায়।”

তিনি আরও বলেন, “তিন বছরের জন্য অনুমোদিত এই অফিস রিভিউযোগ্য। সম্ভবত এক বা দুই বছর পর তা মূল্যায়ন হবে। পরবর্তী সরকার চাইলে তা বাতিলও করতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনই সবদিক বিবেচনায় নিয়ে বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করা উচিত।”

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন বলেন, “বর্তমান আবাসিক প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। নতুন যিনি আসছেন, তাঁর বিষয়ে কিছু আপত্তিকর তথ্য পেয়েছি। সরকার যেন এই বিষয়ে যথাযথ যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়।”

আলোচনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা দরকার। আমরা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মানবো, কিন্তু ইসলাম ও দেশের স্বার্থে আপস করবো না।”

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “পুলিশ ঘুষ খায়, আবার বিপদে তার কাছেই যেতে হয়। জাতিসংঘ মিশনের বিষয়টিও তেমন। সরকার ভারতের অপপ্রচার ঠেকাতে মিশন আনছে, এমন দাবি করলেও আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে চুক্তি করে ভুল করেছে। এখন নীতিমালা নির্ধারণে আমাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, নইলে বড় আন্দোলন গড়ে উঠবে।”

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “জাতিসংঘের এই মিশন স্থাপন হলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পশ্চিমা প্রভাব বাড়বে। রাজনৈতিক দলগুলো এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলছে না; এটি আরও ভয়ংকর।”

সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজেদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক, সালাউদ্দিন নানুপুরী, আহমদ আলী, মহিউদ্দিন রাব্বানী, মীর মো. ইদ্রিস, ফজলুল করিম, সাখাওয়াত হোসেন রাজি, সহকারী মহাসচিব মুসা বিন আতাউল্লা, আমিন ইজহার, জাতীয় ওলামা-মাশায়েখের মহাসচিব রেজাউল করিম এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবদুল হক প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/