[ad_1]
গত সপ্তাহে চলা অন্তত পাঁচ দিনের সীমান্ত সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৩৮ জন নিহত এবং প্রায় ৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত পরাশক্তিগণের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ডের সাময়িক প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচযাছাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেট ২৮ জুলাই শান্তিব্রত সমঝোতা করেন; এটি এপ্রিল রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়।
শান্তিচুক্তি সইয়ের পর সিসাকেট প্রদেশে সাধারণ জীবন ফিরতে শুরু করে, দোকানপাট খুলছে এবং মানুষ স্বস্তি অনুভব করছে।
উভয় পক্ষের সামরিক নেতৃত্বের আলোচনার সময় নির্ধারিত ছিল মঙ্গলবার, তবে মূল সংঘর্ষ এলাকা অন্তর্ভুক্ত বৈঠকগুলো স্থগিত করা হয়েছে এবং একটি নতুন সময় এখনও নির্ধারিত হয়নি।
থাই সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শান্তিচুক্তি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কম্বোডিয়ার বাহিনী অন্তত পাঁচটি স্থানে থাই ভূখণ্ডে সীমিত সফল হামলা চালায়; তবে থাইল্যান্ড তা অভ্যন্তরীণ আত্মরক্ষার প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রতিহত করেছে।
থাইল্যান্ডের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন কোনো উত্তেজনা নেই, পরিস্থিতি শান্ত আছে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল ৫ মে—এক কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হওয়ার পর, যার ফলে সীমান্তে পৃথক এলাকা থেকে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান সীমান্ত বিরোধের প্রেক্ষাপটে এই সংঘাত হঠাৎ প্রবল আকারে বাড়ে, যেখানে সম্প্রীতি রক্ষা ও নগ্ন সীমান্ত সংকট নিরসনের জন্য মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কূটনৈতিক চাপ কার্যকর হয়েছে।
কমিশনপ্রাপ্ত বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা কম্বোডিয়ার সামরাঁও নগরের আশ্রয়কেন্দ্রে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছেন, তবে এখনও অনেকে নিরাপদ দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করছেন।
স্থানীয়রা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, শান্তিচুক্তি কার্যকর থাকলে ধীরে ধীরে অগ্রগতি আসবে, তবে এটি এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় এবং নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
২৮ জুলাই রাতে শান্তিচুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে আপাতত পরিস্থিতি শান্ত হলেও সামরিক আলোচনা স্থগিত থাকায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
সূত্র: রয়টার্স
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com