টঙ্গীতে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি (২৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীর শালিকচুড়া বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার (২৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে খোলা ড্রেনে পড়ে যান তিনি।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যে ড্রেনটিতে ফারিয়া পড়েছিলেন সেটির পানি সরাসরি ওই বিল পর্যন্ত গিয়েছে। উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে সেখানেই মরদেহটি পাওয়া যায়।
ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদপাড়ায়। তিনি মৃত ওলিউল্লাহ আহম্মদ বাবলুর মেয়ে। বর্তমানে তিনি টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় বসবাস করতেন এবং একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ঘটনার সময় তিনি ওষুধ সরবরাহের কাজে টঙ্গী হাসপাতালে যাওয়ার পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টঙ্গী ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে মহাসড়কের পাশে থাকা ড্রেনটির একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে খোলা ছিল। সেখানে কোনো স্লাব বসানো হয়নি এবং সতর্কতামূলক কোনো চিহ্নও দেওয়া ছিল না। হেঁটে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত ফারিয়া ড্রেনে পড়ে যান এবং পানির স্রোতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন।
ঘটনার পরপরই গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, বিআরটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষের অবহেলাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী। এমন ব্যস্ত এলাকায় ড্রেনের স্লাব না বসিয়ে খোলা রাখা ও সতর্কতা না দেওয়াকে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বলছেন তারা।
নিহতের বড় ভাই শোভন জানান, “বোনের মোবাইল বন্ধ থাকায় আমরা নানা উপায়ে খোঁজ করছিলাম। পরে সোমবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বোনের জুতা পড়ে থাকতে দেখি। তখনই নিশ্চিত হই তিনি নিখোঁজ হয়েছেন।”
https://slotbet.online/