সংসদে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা পিআর পদ্ধতি) ১০০ আসনের একটি উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি, লেবার পার্টি, ১২-দলীয় জোটসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে আয়োজিত সংলাপে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয় এবং কমিশন তা গ্রহণ করেছে।
প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ আইন প্রণয়নের একক ক্ষমতা না পেলেও, বাজেট ছাড়া অন্য সব বিল উচ্চ ও নিম্নকক্ষে উত্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল এক মাসের বেশি আটকে রাখতে পারবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের ভিন্নমত লিখিতভাবে যুক্ত না হলে আমরা এই প্রস্তাব অনুমোদন করব না।”
এছাড়া সিপিবি, বাসদ, জমিয়তসহ কয়েকটি বাম ও ইসলামপন্থি দলও দেশের বাস্তবতা তুলে ধরে উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করে।
কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনকালীন সময়ে নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেও উচ্চকক্ষ প্রার্থী তালিকায় অন্তত ১০ শতাংশ নারী সংরক্ষণের প্রস্তাব রয়েছে।
https://slotbet.online/