কেয়ার মরদেহ নিয়ে থানার সামনে স্বজনরা

Reporter Name / ৪৩ Time View
Update : শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫


রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় নিজ বাসায় রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে গৃহবধূ ফাহমিদা তাহসিন কেয়ার (২৫)। মৃত্যুর পরপরই তার স্বামী সিফাত আলী পালিয়ে যান। কেয়ার মরদেহ নিয়ে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর মডেল থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে কেয়ারের পরিবার ও স্বজনরা।

এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় কেয়ারের স্বামী সিফাত আলীসহ (৩০) নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মিরপুর মডেল থানায়।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কেয়ারের ফুপা শামসুদ্দোহা খান। তিনি বলেন, “আমাদের মেয়ের টাকা নিয়ে ওরা মেরে ফেলেছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। এছাড়া কেয়ারের চারটা সন্তান আছে। তার মৃত্যুর পরে সেই চার সন্তানকে জিম্মি করেছে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাচ্চাগুলোকে ওর ফুপু আটকে রেখেছেন। কারও সঙ্গে দেখা বা সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না। আমরা এই ব্যাপারেও পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়েছি, কিন্তু কোনো ধরনের সহায়তা পাইনি। তাই কেয়ার মরদেহ নিয়ে এখন আমরা থানায় যাচ্ছি। সেখানে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করব।”

পুলিশের বিরুদ্ধে কেয়ারের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমান বলেন, “বাচ্চার ব্যাপারে যে অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, সেটায় আসলে আমাদের বেশি কিছু করার নেই। কারও বাচ্চাকে আমরা জোর করে কীভাবে এনে দিতে পারি? কেয়ারের মরদেহ নিয়ে তার পরিবার থানায় এসেছে। এদিকে কেয়ারের শ্বশুরবাড়ির লোকজনও থানায় আসছে। তারা দুই পক্ষ একসঙ্গে বসলে বিষয়টা সমাধান হবে।”

কেয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ওসি সাজ্জাদ রোমান বলেন, “নিহত কেয়ারের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে। মামলায় কেয়ারের স্বামী সিফাত ও তাদের গাড়িচালকসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।”

নিহত কেয়ারের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে কেয়াকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কৌশলে ফোন করে স্বজনদের জানিয়ে পালিয়ে গেছেন সিফাত আলী।

কেয়ারের ফুপু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি বলেন, “বুধবার রাত ২টার দিকে কেয়ারের স্বামী তার মা নাজমা বেগমকে ফোন করে জানান; কেয়া খুবই অসুস্থ। আপনারা বাসায় আসেন। কী হয়েছে জানতে চাইলে সিফাত একপর্যায়ে স্বীকার করেন, ‘কেয়া আর বেঁচে নেই’। এরপর নাজমা বেগম স্বামীসহ দ্রুত ওই বাসায় পৌঁছান। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে যাচ্ছেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা কেয়াকে মৃত ঘোষণা করলে সিফাত সেখান থেকে উধাও হয়ে যান। পরে নাজমা বেগম ও তার স্বামী বাসায় ফিরে দেখেন, সিফাত বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/