এখন জাতীয় পার্টিকে রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির

Reporter Name / ১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫


দেশ ও রাজনীতির স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব বিএনপির; এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সম্প্রতি এক টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘এখন জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির।

এখন যেমন জাতীয় পার্টিকে ব্যান করার কথা অনেকে বলছে, যদিও বিষয়টা স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। আমরা খুবই ধন্যবাদ জানাই বিএনপিকে; পার্সোনাল থ্যাংকস দিয়ে শেষ করছি, যে বিএনপি এই ফাঁদে পা দেয়নি। এখন পর্যন্ত দেয়নি, ভবিষ্যতে কী করবে জানি না।
এই ফাঁদে পা না দেওয়াটা বিএনপির জন্য কেন দরকার? জাতীয় পার্টি যদি ব্যান হয়ে যায়, আওয়ামী লীগ তো ব্যান আছে। তাহলে ভোটে থাকবে কে? মূলত তিনটি দল। তখন বাস্তবে আসনগুলো ভাগ হয়ে যাবে; ২০০ বিএনপি, ৫০ অমুক, ৫০ অমুক।
এভাবে বাকি দলগুলো বিএনপিকে বলবে, আমাদের আরও ১০০ আসন না দিলে আমরা ভোটে যাব না। আমাদের এটা-ওটা দিতে হবে। বিএনপি তখন পাপেট হয়ে যাবে, রাজনৈতিক পাপেট হতে বাধ্য হবে। তাই এখন জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির।’

রাজনীতিতে ‘কুলিং পিরিয়ড’ দরকার উল্লেখ করে শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘বিএনপি সে দায়িত্ব পালন করলে আমি মনে করি দেশের মঙ্গল, বিএনপির মঙ্গল, সবার মঙ্গল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এ কাজটিই করেছিলেন; সব দলকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। যদি ২০০৬ সালে ভোটে আওয়ামী লীগ চলে আসত, তাহলে বিএনপির ওপর তাৎক্ষণিক দুর্বিষহ নির্যাতন হতো। কারণ তার আগে ২১ আগস্ট ঘটেছে, যে ২১ আগস্ট নিয়ে সংসদে বলা হয়েছে ভেনিটিতে করে গ্রেনেড আনা হয়েছে। কিন্তু দুই বছরের কুলিং পিরিয়ডের পর যা ঘটেছে; ভোট হয়েছে। আওয়ামী লীগ কিন্তু ২০০৮ সালের ভোটের পরপরই বিএনপির ওপর নির্যাতন শুরু করেনি, পরে করেছে। তাই এই কুলিং পিরিয়ড বাংলাদেশে খুবই দরকার।’

সেনাপ্রধান ক্ষমতা নিতে চান না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন প্রবলেম হচ্ছে, আমাদের মাননীয় সেনাপ্রধান যিনি আছেন, তিনি ক্ষমতা নেওয়া বা জরুরি অবস্থা জারির ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখাননি। কারণ তিনি যদি নিতে চাইতেন, পাঁচ তারিখেই নিতে পারতেন। অমর্ত্য সেন কিন্তু প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধানের, যে তিনি পাঁচ তারিখে ক্ষমতা নেননি। এখন দেশের স্বার্থে যদি এমন হয় যে দেশ চলছে না; এ মুহূর্তে সম্পূর্ণভাবে চলছে না। সরকার ভাবলেশহীন, দায়িত্বহীন, ফ্লুইড সরকার; যে ভাবছে কিছুদিন পর তো আমরা থাকব না, তাহলে আর কী করব! অনেকে বিদেশ থেকেও এসে সরকারের মধ্যে উপদেষ্টা হয়েছে এবং সেখানে প্রকৃত সাংবিধানিক সংকট রয়েছে, কারণ বিদেশি নাগরিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিসভার দায়িত্বে আছেন। এটি অবশ্যই একটি বড় ইস্যু।’

সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রসঙ্গেও কথা বলেন শামীম পাটোয়ারী। তার মতে, আসিফ মাহমুদ সরকারের সমালোচনা করে সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তিনি বলেন, ‘লোকাল গভর্নমেন্ট অ্যাডভাইজার (আসিফ মাহমুদ) যে মন্তব্য করলেন যে সরকার দায় এড়াতে পারে না; সরকার তো উনি নিজেই! তিনি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং উপদেষ্টা। আমাদের সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে, এন্টায়ার কেবিনেট উইল বি রেসপন্সিবল টু পার্লামেন্ট। অর্থাৎ মন্ত্রিসভা সমষ্টিগতভাবে কথা বলবে। মন্ত্রিসভার কেউ কখনো কারো সমালোচনা করতে পারে না। কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা সরকারের সমালোচনা করতে পারেন না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/