চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক উত্তেজনা পরিস্থিতি ঘিরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘটনাবলির ওপর তারা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় করা হয়েছে। এ ছাড়া রোববার রাতে উপাচার্যের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত হয় যে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা পরিবেশ ঠিক রাখতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এই নির্দেশনা প্রদান করেছে, যাতে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়।
https://slotbet.online/