পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাতি টিকিয়ে রাখতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য স্থানীয়দের মধ্য থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমকে আরও সক্রিয় করতে হবে। তাদের ওয়াকিটকি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিতে হবে। একই সঙ্গে হাতির খাদ্যোপযোগী গাছ লাগানো জরুরি।
মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় ঠিক করতে গত রোববার রাতে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মানুষ ও হাতির সহাবস্থান নিশ্চিতে সরকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেবে বলে জানান রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহজে ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সহজীকরণ ও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বোরো মৌসুমে বিশেষ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত জনবল পদায়ন করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করতে হবে।
শেরপুর, নেত্রকোনা-সহ দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আনাগোনা দেখা যায়। প্রায়ই খাবারের অভাবে হাতি লোকালয়ে এসে ফসল ও বসতি স্থাপনার ক্ষতি করে। এ বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হাতির কাছে গিয়ে যে কোনো ধরনের ভিডিও করা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান মুকুল, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আলী রেজা খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী, হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক এএসএম জহির উদ্দিন আকনসহ স্থানীয় নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।
https://slotbet.online/