[ad_1]
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার অভিযোগ করেছেন, মার্কিন মাটিতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার দায়ি ইন্টারিম সরকারই। তিনি বলেন, “এটা একটি সরকারি সফর; আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছি—সরকারের আমন্ত্রণে। তখন যদি আমাদের নেতৃবৃন্দকে বিদেশে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলা হয়, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
এক সাক্ষাৎকারে তুষার আরো যুক্তি দেখান যে, ইন্টারিম সরকার জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদাতাদেরকে বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং এ ঘটনার জন্য বাংলাদেশ মিশন, দূতাবাস, কনসুলেট জেনারেলসহ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সরকারি প্রটোকলেও কেন প্রধান উপদেষ্টা ও তার সহায়করা আলাদাভাবে বেরোলেন—ফলত: কিছু নেতাকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে?”
তিনি দাবি করেন, মিশন ও পররাষ্ট্রবিভাগে গত পনেরো বছরে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা দায়িত্বহীন তাদের সনাক্ত করে সাসপেন্ড করা উচিত। তুষার বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক; কনসুলেট জেনারেল এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার করা দরকার।” তার কথায়, পূর্বেও ওই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই পদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি।
সরকারে বিদ্যমান দলের প্রতি তুষারের কড়া মন্তব্য ছিল—তিনি আওয়ামী লীগকে “গুপ্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী” আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের কোনো প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে নেই, কাজেই তারা বিদেশে থেকেই অপদস্তকরণ ও হামলার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে। তুষার দাবি করেন, এসব কার্যকলাপ প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত রাজনৈতিক উপস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ।
তুষার তিনটা দাবি উত্থাপন করেন;
১) আওয়ামী লীগকে বিচারিক পদ্ধতিতে নিষিদ্ধ করা হোক।
২) ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব বা গ্রীন কার্ড থাকুক বা না থাকুক, তাদের প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
৩) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আমেরিকার বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনসুলেট জেনারেলসহ দোষী কর্মকর্তাদের শাস্তি ও জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com