[ad_1]
সরকার প্রায় ১০৬ কোটি ডলারের অনমনীয় (কঠিন শর্তের) ঋণ নিতে যাচ্ছে, যা সাতটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিদেশি সহায়তা অনুসন্ধান কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈঠকে জানানো হয়, ৩৬টি ঋণনির্ভর প্রকল্প প্রস্তাব করা হলেও প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে সাতটি। এসব প্রকল্পের জন্য চীনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তবে অনুমোদিত সাতটি প্রকল্প মূলত অনমনীয় শর্তের ঋণ হিসেবে ধরা পড়েছে।
অনমনীয় ঋণের সুদ সাধারণত বাজারভিত্তিক এবং সহজ শর্তের ঋণের তুলনায় বেশি। এর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ও রেয়াতকালও তুলনামূলক কম থাকে। জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোতে অনেক সময় সহজ শর্তের ঋণ পাওয়া যায় না, তাই সরকারকে এসব ক্ষেত্রে কঠিন শর্তের ঋণের দিকে যেতে হয়। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার কারণে নমনীয় ঋণের প্রাপ্যতা ধীরে ধীরে সীমিত হচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশি ঋণের একটি বড় অংশ এসেছে নন-কনসেশনাল উৎস থেকে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—রাজধানীর পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের জলবায়ু সহনশীল পাঁচটি সেতু নির্মাণ, উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহ উন্নয়ন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, খুলনার পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং ঢাকা ওয়াসার দুটি বড় প্রকল্প।
ময়মনসিংহ বিভাগে জলবায়ু সহনশীল পাঁচটি সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা দেবে ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)।
ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার (ফেজ-৩) প্রকল্পের ব্যয় ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এখানে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) দিচ্ছে ১১ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা ঋণ, যার মধ্যে ৯ কোটি ডলার কঠিন শর্তের। একইভাবে ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের ব্যয় ১০ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা, যেখানে ইআইবি ৬৭৪ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে, যার প্রায় পুরোটা নন-কনসেশনাল বা কঠিন শর্তে।
চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তরে খরচ ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিচ্ছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। খুলনার পানি সরবরাহের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে ২ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ৮২১ কোটি টাকা আসছে এডিবি থেকে।
সর্বশেষ নেসকো এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা, যেখানে ৯৬৫ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে এডিবি।
[ad_2]
https://slotbet.online/