[ad_1]
কয়েক মাস পর পর ধর্ষকের বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হয়। কিন্তু বিচার পাওয়ার দুরের কথা বরংচ প্রকাশ্যে ভাবে ঘুরাঘুরি করছে সেসব অপরাধীরা। শুধু তাই নয় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি না দিয়ে কয়েকমাস পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়। যার কারণে আরো প্রশ্রয় পাচ্ছে ধর্ষকরা। আইন যদি সঠিক বিচার করত তাহলে দেশের ধর্ষক কমে যেত। কিন্তু প্রশাসন অপরাধীদের বার বার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে বলে বর্তমানে ধর্ষক প্রশাসন উৎপাদনের কারখানা হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মুক্তমঞ্চে সামনে ধর্ষকদের বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে এমন মন্তব্যে করেন আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বক্তব্যে বলেন, খাগড়াছড়িতে এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ধর্ষকদের নানা নাটকীয় পর একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগষ্ট পর পাহাড়েও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবো কিন্তু সরকার ও রাষ্ট্র উল্টো ভাবে আমাদের উপর বর্বরতা নির্যাতন চালাচ্ছে। নিরাপত্তা নামে প্রতিটি পাহাড়ে ক্যাম্প বাড়ানো হলেও পাহাড়ের মানুষরা নিরাপত্তাহীন্তায় ভুগছে। এই রাষ্ট্র ও সরকার নিরাপত্তা না দিয়ে উল্টো আমাদেরকে নানা তকমা লাগিয়ে দিচ্ছে আমরা সেটিকে তিব্র নিন্দা জানান তারা।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি উবাথোয়াই মারমা বলেন, পাহাড়ের দিনদিন পর দিন ধর্ষক বেড়েছে। যার কারণে দুই এক মাস পর ধর্ষণের শিকার হচ্ছে আমাদের মা বোনরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরাও তাদেরকে বিচারে আওতায় না এনে বরংচ সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে। তাই এবার আইনের বিচার নয় ধর্ষককে যেখানে পাবো সেখানে সরাসরি বিচার করবে ছাত্র সমাজ।
বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল জেলা সভাপতি থোয়াই অং মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম কোন বিচ্ছিন্ন এলাকা নয় এটি বাংলাদেশের একটি অংশ। কিন্তু আমাদের সংখ্যলঘু উপর নির্যাতন,গুম খুন ও ধর্ষন দিনদিন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। তাছাড়া এসব অপরাধীদের প্রশাসনের বাহিনীরা আইনের আওতায় না এনে আরো তাদেরকে সাথে এক টেবিলে বসে আড্ডায় মেতে উঠে। এসব আইনের প্রতিধিক্কার জানায়। বলেন, এর আগেও চিংম্রা খিয়াংকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে কিন্তু প্রশাসন বাহিনী নানা অজুহাত দেখিয়ে অপরাধীদের আইনে আওতায় না এনে ধামাচাপা দিয়েছে যেটি অত্যন্ত নাক্ক্যকারজনক।

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হ্লাখ্যাই নু মারমা বলেন, গতকাল শহরে উজানী পাড়াতে মেয়েদের দেখে এক যুবক তার ব্যক্তিগত অঙ্গ দেখিয়েছে। তাও শহরে জনসম্মুখে। এমন অপরাধী মানুষকে গণধোলাই দিয়েছে নারীরা। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রশাসন এখনো সেই যুবককে আটক করেনি। তাই স্পষ্ট বলতে চাই যেখানে আইন পঙ্গু হয়ে গেছে সেখানে ছাত্র সমাজ সেসব অপরাধীদের বিচার করবে বলে হুশিয়ারি দেন।
এর আগে রাজার মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিচারে দাবিতে স্লোগানে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। এসময় অংশ নেন বিভিন্ন সংগঠনের পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উক্যচিং মারমা সঞ্চালনায় সাধারণ সম্পাদক জামাধন তংচঙ্গ্যা, বাংলাদেশে তংচঙ্গ্যা এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক বিটনময় তংচঙ্গ্যা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল কলেজ শাখা শিক্ষার্থী উমংসিং মারমা,মানবাধিকার কর্মী জন ত্রিপুরাসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
[ad_2]
https://slotbet.online/