[ad_1]
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় এক হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি নিরাপদ অভিবাসন প্রসঙ্গও গুরুত্ব পায়। এ সময় মেলোনি ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় সফরে আসার পরিকল্পনার কথাও জানান।
এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূস ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বিশ্ব নেতাদের প্রতি ইউনূসের আহ্বান
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত “টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি” বিষয়ক প্রথম দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কার্যকর অর্থায়নের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মর্যাদা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার এমন এক অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। তার মতে, বৈষম্য, দারিদ্র্য ও আর্থিক অস্থিরতা দূর করতে হলে কিছু অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন জরুরি।
ড. ইউনূস আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্পদের ন্যায্য প্রবেশাধিকারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করলে, তরুণরা সৌরশক্তি ও প্রযুক্তির সুবিধা পেলে, বস্তির শিশুরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার পেলে পরিবর্তন বাস্তব ও টেকসই হয়ে ওঠে।
পাঁচটি অগ্রাধিকার প্রস্তাব
প্রধান উপদেষ্টা এসডিজি অর্থায়নে শক্তি জোগাতে পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান—
১. ন্যায্যভাবে দেশীয় সম্পদ আহরণ – প্রগতিশীল করব্যবস্থা গড়ে তোলা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং বহুজাতিক করপোরেশনকে ন্যায্য অংশ প্রদান করতে হবে।
২. নতুন অর্থায়ন ও সামাজিক ব্যবসার প্রসার – এমন উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে হবে, যেখানে মুনাফা পুনরায় সমস্যা সমাধানে বিনিয়োগ হয়।
৩. আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো ও ঋণ ব্যবস্থার সংস্কার – উন্নয়নশীল দেশগুলোর কণ্ঠ আরও জোরালো করতে হবে; ঋণকে চাপ নয়, উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
৪. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা – অবৈধ অর্থ প্রবাহ রোধ করতে হবে এবং নাগরিকদের, বিশেষ করে তরুণদের জানার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৫. দুর্বল জনগোষ্ঠীতে বিনিয়োগ – টেকসই আবাসন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশভিত্তিক সমাধানে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, সেভিলে গৃহীত অঙ্গীকার বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করেছে, যা দেশীয় সম্পদ আহরণ, উন্নয়ন ব্যাংকের ক্ষমতায়ন এবং অবৈধ অর্থপ্রবাহ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
[ad_2]
https://slotbet.online/