[ad_1]
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে ফের নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন।
আবেদনে বলা হয়, শাপলা প্রতীককে ঘিরে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এনসিপির প্রতি ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই মাসে দেশজুড়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে মানুষ শাপলা সংগ্রহ করে প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে এনসিপির সঙ্গে জনগণের এক ধরনের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জাতীয় প্রতীক হিসেবে শাপলাকে প্রতীক তালিকায় না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়, যা আইনগতভাবে ভিত্তিহীন বলে এনসিপি দাবি করেছে।
দলটির মতে, শাপলা জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ হলেও তা আলাদা উপাদান। বিদ্যমান আইনে শাপলাকে প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। ইতোমধ্যে ধানের শীষ ও তারা জাতীয় প্রতীকের উপাদান হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি ও জেএসডিকে প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে জাতীয় ফল কাঁঠাল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি এবং সোনালী আঁশ তৃণমূল বিএনপির প্রতীক হিসেবে অনুমোদিত হয়েছে। সুতরাং শাপলা প্রতীকও আইনগতভাবে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব।
এনসিপি আরও জানায়, গত ৩ আগস্টের বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কিছু সংস্থার লোগোতে শাপলা থাকায় এটি প্রতীক হিসেবে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এনসিপির যুক্তি— পুলিশের লোগোতে ধানের শীষ, বিমানবাহিনীর লোগোতে ঈগল এবং সুপ্রিম কোর্টের লোগোতে দাঁড়িপাল্লা থাকা সত্ত্বেও সেই প্রতীকগুলো রাজনৈতিক দলগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাই শুধু শাপলার ক্ষেত্রে এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়, বরং বৈষম্যমূলক।
এনসিপির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন শাপলাকে প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করে স্বেচ্ছাচারী ও একপেশে আচরণ করছে। এতে তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ফলে এনসিপি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ সংশোধন করে তাদের অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা অথবা ৩. লাল শাপলা—এর যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
[ad_2]
https://slotbet.online/