[ad_1]
আর মাত্র দুদিন পরেই শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন; শারদীয় দুর্গাপূজা। রাজধানীসহ সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা, প্রতিমা তৈরির কাজ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে প্রস্তুতি।
বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী এ বছর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। পরের দিন মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই আয়োজন।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালীমন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, আজিমপুর সরকার কলোনী, শাঁখারিবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা তৈরি, রং, আলোকসজ্জা ও প্যান্ডেল সাজানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিল্পীরা এখন প্রতিমার ফিনিশিং টাচ দিচ্ছেন, আর সাজসজ্জার কর্মীরা দিন-রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিমাশিল্পীরা বলছেন, এ বছর মণ্ডপ সাজসজ্জায় এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আগে যেখানে সীমিত সামগ্রীতে কাজ চলতো, এখন প্রতিটি মণ্ডপে ভিন্নধর্মী নকশা, বৈচিত্র্যময় আলোকসজ্জা ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে।
লোকনাথ পঞ্জিকা অনুসারে, এ বছর দেবীর আগমন হবে গজে (হাতি), যা শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে দেবীর বিদায় হবে দোলায় (পালকি), যা দুর্ভিক্ষ বা মহামারির অশুভ ইঙ্গিত বহন করে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজারেরও বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শুধু ঢাকা মহানগরীতেই ২৫০টির বেশি মণ্ডপে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট জানিয়েছে, দুর্গাপূজার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার মোট ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন প্রতিটি মণ্ডপে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলও সক্রিয় থাকবে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে খোলা হবে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ শিক্ষা, ধর্ম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের এই মহোৎসবকে ঘিরে তাই এখন রাজধানীসহ সারাদেশে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
[ad_2]
https://slotbet.online/