শিরোনাম
স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন Save the nature of Bangladesh চট্টগ্রাম মহানগর শাখার কমিটির পক্ষ থেকে মেয়র কে ফুলেল শুভেচ্ছা বিশ্ব অ্যানাস্থেসিয়া দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে যৌথ উদ্যোগই পারে সুস্থ জাতি গঠনে অবদান রাখতে: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সব ধর্মের মানুষের জন্য শান্তির শহর গড়তে চাই — মেয়র ডা. শাহাদাত ভেজাল বিরোধী অভিযান সদরঘাট রোডে দুই রেস্টুরেন্টকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা টাইফয়েড থেকে শিশুদের বাঁচাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিন: মেয়র ডা. শাহাদাত চন্দনাইশে শহীদ জিয়ার খাল খননের স্মৃতি বিজড়িত বৈঠকখানার উদ্বোধনকালে ডা. শাহাদাত হোসেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হবে –জসিম উদ্দিন চৌধুরী

আগামীর বাংলাদেশ ও বিএনপি’র করণীয়

Reporter Name / ১৬ Time View
Update : শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

[ad_1]

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আমাদের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। দেশের জনগণ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় উন্মুখ; কিন্তু পরিবর্তনের সঠিক দিকনির্দেশনা তখনই নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতা নির্মাণ: নেতাদের গণতান্ত্রিক আচরণ, বক্তব্য সংযম ও মিডিয়া পরিচালনায় সম্ভব, যখন আমরা নিজেদের ভেতর থেকে দুর্বলতা দূর করতে পারব।

 

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল আমাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— মানুষ আর অশিক্ষিত, বর্বর কিংবা চাঁদাবাজ শ্রেণীর রাজনীতি দেখতে চায় না। রাজনীতি হতে হবে মেধা, শিক্ষা ও বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তাধারার প্রতিফলন।

 

দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু দুষ্টচক্র বিএনপি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশ্য বিএনপিকে দুর্বল করা; কিন্তু মনে রাখতে হবে— বিএনপি গণমানুষের দল। এই দলকে শক্তিশালী করতে হলে আমাদের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও আত্মত্যাগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

 

তৃণমূল কর্মীদের দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও সংগ্রাম কোনোভাবেই ম্লান হতে দেওয়া যাবে না। কমিটি বানিজ্য, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ কিংবা দলের স্বার্থ ভোগীদের চিহ্নিত করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি’র ভেতর যে কোনো অপশক্তি যদি সুযোগ পায়, তবে জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ হবে।

 

গত ৫ আগস্টের পর আমরা লক্ষ্য করেছি যে কিছু আ. লীগের নেতাই বিএনপির দিকেও এসেছে; অনেকে যাচাই-বাছাই ছাড়াই দলীয় পদ এবং দায়িত্ব পেয়েছে। অপরদিকে, দীর্ঘ ১৭ বছর দলের জন্য সংগ্রাম করা সক্রিয় নেতাকর্মীরা, যারা নানা সময়ে নিপীড়ন ও ত্যাগ সহ্য করেছেন, তারা অনেক ক্ষেত্রে দলীয় দায়বদ্ধতা থেকে বাদ পড়ছেন। এটি দলীয় ন্যায্যতা ও নৈতিকতার বড় চ্যালেঞ্জ; দ্রুত এই অনিয়ম নিরসন করা আবশ্যক।

 

নেতৃত্বে এক, বক্তব্যে স্পষ্ট, অবস্থানে অটল

আমাদের দলের নেতৃত্বে শৃঙ্খলা ও একক নির্দেশনার গুরুত্ব অপরিসীম। নেতৃত্বে এক, বক্তব্যে স্পষ্ট, অবস্থানে অটল—তিনিই তারেক রহমান। একজনই নেতা, যার বক্তব্যে আছে সত্যের দীপ্তি, অবস্থানে আছে অটল প্রত্যয়।

 

তারেক রহমান নিঃসন্দেহে উদারচিত্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও ব্যতিক্রমধর্মী নেতা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাঁকে সাধারণ জীবনযাপনের শিক্ষা দিয়েছিলেন—মানুষের সঙ্গে মিশে মানুষের মতোই থাকতে। যদিও বাংলাদেশে এই জীবনযাত্রা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি, প্রবাসজীবনের দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর তাঁকে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা ও পরিপক্কতা দিয়েছে।

 

হয়তো আগামী ৫ বছরের মধ্যে তিনি বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুরের মতো একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবেন না, তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—তারেক রহমান তাঁর যুক্তরাজ্যভিত্তিক অভিজ্ঞতা, শৃঙ্খলা ও আধুনিক নেতৃত্বের মানসিকতা দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবেন। তিনি জানেন কীভাবে রাষ্ট্রকে সুশাসনের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, প্রশাসনকে জনবান্ধব করা যায়, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করা যায় এবং দেশের মানুষকে উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে সম্পৃক্ত করা যায়।

 

শক্তিশালী চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা জরুরি
বর্তমানে বিএনপি’র বড় দুর্বলতার একটি হলো সুসংহত চেইন অব কমান্ডের অভাব। আমরা প্রায়ই দেখি, একেকজন নেতা একেক রকম কথা বলেন, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কঠোর ও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা না থাকায় বারবার ভুল সঙ্কেত প্রেরিত হচ্ছে।

 

* সর্বোচ্চ নেতৃত্ব—তারেক রহমানের নির্দেশনায় সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হোক।
* কেন্দ্র থেকে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিটে পরিষ্কার কাজের বণ্টন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হোক।
* ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও স্বার্থের চেয়ে দলকে সর্বাগ্রে রাখতে হবে।
* নেতা-কর্মীরা মুক্তভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে, কিন্তু মঞ্চে ও প্রচারে একক বার্তা বজায় রাখতে হবে।

বিএনপি’র বর্তমান অবস্থা ও করণীয়
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি জনগণের প্রত্যাশার একটি প্রধান প্রতীক হলেও দলীয় ভেতরের দ্বন্দ্ব, অনিয়ম ও একক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে আস্থা লাভ বিলম্ব হচ্ছে। আমাদের করণীয়:

* স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: পদ পুনর্নিয়োগ, কমিটি গঠন ও মনোনয়নে একটি সুষ্ঠু যাচাইকরণ প্রক্রিয়া।
* প্রশিক্ষণ।
* তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ: শিক্ষিত, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক তরুণদের দলবদ্ধ করা।
* একক বার্তা ও কৌশলগত যোগাযোগ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাঠে পরিষ্কার ও ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
* দলীয় শৃঙ্খলা ও নৈতিক মূল্যবোধ: অনৈতিকতা, স্বার্থপরতা ও দলভিত্তিক অবিচারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা।

উপসংহার
দল ব্যক্তি চেয়ে বড়—এই মৌলিক সত্য আমরা ভুলে চলতে পারি না। ঐক্য, শৃঙ্খলা ও জনআস্থা ফিরিয়ে আনলেই বিএনপি জনমানসে শক্ত অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে পারবে। আমরা তারেক রহমানের নির্দেশনায় একত্রিত হয়ে, জনগণের আস্থা অর্জন ও দেশের জন্য বাস্তব পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হব।

 

এম এ হাকিম মিনহাজ

যুগ্ম আহ্বায়ক, পর্তুগাল বিএনপি

[ad_2]


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/