শিরোনাম
স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন Save the nature of Bangladesh চট্টগ্রাম মহানগর শাখার কমিটির পক্ষ থেকে মেয়র কে ফুলেল শুভেচ্ছা বিশ্ব অ্যানাস্থেসিয়া দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে যৌথ উদ্যোগই পারে সুস্থ জাতি গঠনে অবদান রাখতে: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সব ধর্মের মানুষের জন্য শান্তির শহর গড়তে চাই — মেয়র ডা. শাহাদাত ভেজাল বিরোধী অভিযান সদরঘাট রোডে দুই রেস্টুরেন্টকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা টাইফয়েড থেকে শিশুদের বাঁচাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিন: মেয়র ডা. শাহাদাত চন্দনাইশে শহীদ জিয়ার খাল খননের স্মৃতি বিজড়িত বৈঠকখানার উদ্বোধনকালে ডা. শাহাদাত হোসেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হবে –জসিম উদ্দিন চৌধুরী

নিজ প্রতিষ্ঠানে স্ত্রীসহ ব্যবসায় বিডিরেন কর্মকর্তার

Reporter Name / ৩২ Time View
Update : শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

[ad_1]

চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে কর্মক্ষেত্রে ব্যবসায় জড়িয়েছেন বাংলাদেশ গবেষণা ও শিক্ষা নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) ট্রাস্টের মহা-ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম। টেক্সাল টেকনলজি সলুউসন্স নামে একটি ঠিকাদারি ও মালামাল সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান গড়েছেন এই কর্মকর্তা। আবার এই কোম্পানির চেয়ারম্যান করেছেন নিজের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে; যিনি নিজেও একজন সরকারি কর্মকর্তা।

 

বিডিরেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে পরিচালিত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্বচ্ছতা, সরকারি ক্রয়নীতি এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় নিয়মিতভাবে অনিয়ম করছেন কিছু কর্মকর্তা। এই তালিকায় আরিফুল ইসলামের নামও উঠে এসেছে।

 

আরিফুল ইসলামের স্ত্রী কৃষি ব্যাংক বনানী শাখায় কর্মরত। এ বিষয়ে জানতে কৃষি ব্যাংক, বনানী শাখায় গেলে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন তাহমিনা আক্তার। বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে তিনি বলেন, আপনারা ভুল তথ্য নিয়ে এগোচ্ছেন।

 

বিডিরেন ট্রাস্টের মহা-ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
বিডিরেন ট্রাস্টের মহা-ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

তবে টেক্সাল টেকনলজি সলুউসন্স’র সবকিছুতেই রয়েছে তাহমিনা আক্তারের নাম। এমনকি বিভিন্ন কোম্পানিকে দেয়া ভাউচারে স্বাক্ষর রয়েছে তার। এছাড়া কোম্পানির প্যাডে ব্যবহার করা নম্বরটিও তাহমিনা আক্তারের।

 

এসব বিষয়ে কৃষি ব্যাংক, বনানী শাখার উপ মহা-ব্যবস্থাপক ওবায়দুল আকবর বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। তবে সরকারি আইন অনুযায়ি সে অন্য কোন চাকরি বা ব্যবসায়ে জড়াতে পারেন না।

 

সূত্র বলছে, পারমিটডিনাই লিমিডেট ও আইটেক এনার্জি ডটকম– এর সঙ্গে যোগসাযোশ করে বিডিরেনের বিভিন্ন টেন্ডারে অংশ নেয় টেক্সাল টেকনলজি সলুউসন্স। পরে যেকোন একটিকে অর্থের বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেন আরিফুল ইসলাম।

অভিযোগ রয়েছে, পারমিটডিনাই- এর মালিকের শ্বশুরের থেকে একটি ফ্ল্যাটও উপহার হিসেবে নিয়েছেন আরিফুল ইসলাম।

 

অভিযোগ রয়েছে, আরিফুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানটির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সম্প্রতি ঘনিষ্টদের পদোন্নতি দিতে বিডিরেন’র অর্গানোগ্রামেও সংশোধন আনেন। এবং আগেই নিয়োগ দিয়ে পরে পরীক্ষার নাটক সাজানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে।

 

বিডিরেনের নতুন কার্যালয় ক্রয় নিয়ে রয়েছে আরিফুল ইসলামসহ ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁও নাভানা এইচআর টাওয়ারে ২২ কোটি টাকার ফ্লোরটি ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কিনেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

 

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গঠিত এন্ডোমেন্ট ফান্ড থেকে ৮০ কোটি টাকা সুদবিহীন ঋণের মাধ্যমে যে চারজন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত গাড়ি কিনেছেন; তাদের একজন আরিফুল ইসলাম। আবার সেই গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ মাসে ৩৫,০০০ টাকা অফিস থেকেই নিচ্ছেন তিনি।

 

দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন আরিফুল ইসলাম। বসিলাতে ফ্ল্যাট এবং পূর্বাচলে একাধিক প্লট রয়েছে আরিফুল ইসলামের।

 

এছাড়া টেকনেশিয়ান পদে নিজের বন্ধুর ভাই আতিকুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছেন আরিফুল ইসলাম। সম্প্রতি সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী পদে পদন্নোতিও দেয়া হয়েছে তাকে। অথচ আতিকুল ইসলামের ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটটিই ভুয়া। অভিযোগ রয়েছে, আরিফুল ইসলামের আত্মীয় হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়েই উল্টো তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এড়িয়ে যান আরিফুল ইসলাম।

 

অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তাকে আগলে রাখেন বিডিরেনের সিইও মোহাম্মদ তাওরিত। এসব বিষয়ে জানতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে উল্টো উদ্বত্বপূর্ণ আচরণ দেখান তিনি। বলেন, ‘বিডিরেনে কোন সাংবাদিক এলাউ না’।

 

ইউজিসির এক সদস্য বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, বিডিরেনে আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা ইউজিসির সদস্যদের কাছেও এসেছে। তবে এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

 

এসব অভিযোগ নিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান ড. এসএমএ ফায়েজ বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, সামনের বোর্ড মিটিং-এ এসব বিষয় উত্থাপন করা হবে। দোষী প্রামাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিডিরেনে সাংবাদিক ঢুকতে পারবে না- এমন কোন নিয়ম নেই। তিনি বিষয়টি দেখবেন।

[ad_2]


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/