[ad_1]
পঞ্চগড়ের একটি মাদরাসায় জোহরের সুন্নত নামাজ না পড়ার অভিযোগে হেফজ বিভাগের এক ছাত্রকে মুখে টুপি গুঁজে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সাব্বির হোসেন নাসির (১২) নামের ওই ছাত্র বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের লিচুতলা এলাকায় অবস্থিত আত-তাক্বওয়া ওয়াসসুন্নাহ হিফজ মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে। ছাত্র ও তার পরিবারের অভিযোগ, মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছেন। শিশুটির পুরো শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানায় নাসিরের বাবা বেলাল হোসেন অভিযোগ দেন। তিনি আসাদুজ্জামান আসাদসহ তিন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪–৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। নাসিরের পরিবার বলেছে, তিন মাস আগে শিশুটিকে মাদরাসায় ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তির কয়েকদিনের মধ্যেই মারধরের শিকার হয়ে সে বাড়ি চলে আসে। বাবা-মা বোঝাপড়ার পর আবার তাকে হাফেজ বানানোর জন্য মাদরাসায় রেখেছিলেন।
নাসির জানিয়েছেন, জোহরের নামাজ শেষে সুন্নত নামাজ না পড়ায় আসাদ হুজুর তাকে মারধর শুরু করেন। চিৎকার করলে তার মুখে টুপি গুঁজে দিয়ে মারতে থাকেন। কয়েকজন ছাত্র তাকে ধরে রাখে এবং পরিচালক শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর চালিয়ে যান। নাসির বলেন, “যদি আরও মারতো, আমি মরেই যেতাম। আমার গলা দিয়ে রক্ত বের হয়ে গেছে।”
শিশুর বাবা বেলাল হোসেন বলেছেন, “আমার ছেলেকে এর আগেও নির্যাতন করা হয়েছে। ওইদিন যেভাবে মারধর করা হয়েছে তা বর্ণনা করার মতো নয়। তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এখন আসাদ হুজুর আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান জানিয়েছেন, শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com