[ad_1]
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল এ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকরভাবে কাজ করছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, জাতিসংঘ এমন একটি কূটনৈতিক মঞ্চ যেখানে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ তুলে ধরাই প্রতিনিধিদলের মূল লক্ষ্য। গত পাঁচ দিনে দলটি একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে ছয়জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, টিআইবি যে দাবি করেছে—প্রতিনিধিদলের সদস্য সংখ্যা ১০০ জনের বেশি—তা সঠিক নয়। প্রকৃত সংখ্যা ৬২, যা গত বছরের ৫৭ জনের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে গত বছরের পরিসংখ্যানে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে সফরসঙ্গী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে ধরা হয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, এ বছরের প্রতিনিধিদলের এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা কর্মী, যারা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছ থেকে আসা ধারাবাহিক হুমকির কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেকে প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রেস সচিব বলেন, প্রতিনিধিদলের আকার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে এ বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, একদিকে কিছু মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্যোগ চলছে। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের শক্তিশালী উপস্থিতি শুধু কৌশলগত নয়, বরং অত্যাবশ্যক।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা লাখ লাখ ডলার ব্যয় করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য প্রচার ও আন্তর্জাতিক লবিং করছে। তাই বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা রাখা জরুরি। এ বছর প্রতিনিধিদলে এমন ব্যক্তিরাও রয়েছেন যারা ৩০ সেপ্টেম্বরের রোহিঙ্গা সম্মেলনে অংশ নেবেন, যেখানে এই জটিল সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব তুলে ধরা হবে।
এছাড়া কয়েকজন উপদেষ্টা আলাদাভাবে সফর করছেন, যারা মূল প্রতিনিধিদলের অংশ নন কিন্তু বিভিন্ন বৈশ্বিক আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও এ সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তাদের সহায়তায় কিছু কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার ভাষায়, এটি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।
[ad_2]
https://slotbet.online/