[ad_1]
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এককভাবে নয়, আসন সমঝোতা ও জোটের মাধ্যমে ভোটে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দলগুলো। আগে চারদলীয় জোটভুক্ত থাকা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এখন বিভিন্ন ইস্যুতে দুই ভিন্ন মেরুতে রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলো মুখে যা-ই বলুক, তারা নির্বাচনি মাঠে সক্রিয়। জুলাই সনদ ও নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিরোধ দ্রুত সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ‘জোট গঠন’ বা ‘আসন সমঝোতা’ নিয়েও আলোচনা চলছে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি পৃথকভাবে জোট গঠনের বিষয়ে বেশি তৎপর। অন্যদিকে বাম, ডান ও ইসলামি দলেরা পৃথক দুটি জোট গঠনের উদ্যোগে আছে।
পশ্চিমা কূটনীতিকরাও দুই দলের মধ্যে জুলাই সনদ ও নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিরোধ সমাধানে সহযোগিতা করছেন। তারা ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে আগ্রহী। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্কে অবস্থান করেছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। নির্বাচনের আগে দলগুলোর আস্থার সংকট দূর করতে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ফিরে তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে জোট ও সমঝোতার অগ্রগতি বোঝা সম্ভব হবে।
ছোট দল ও সংগঠনগুলোকে কাছে টানতে বড় দলগুলো জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপি তাদের পুরোনো সহযোগীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং নতুন দলের সাথেও যোগাযোগ করছে। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে মিত্রদের আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দলও নতুন জোট বা নির্বাচনি সমঝোতার উদ্যোগে আছে। কিছু দল বিএনপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে। হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির মধ্যে অসংখ্য বৈঠক হয়েছে, তবে বিএনপি জানিয়েছে হেফাজতের সঙ্গে তারা অরাজনৈতিক সম্পর্ক রেখেছে।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি একীভূত হওয়ার বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালাচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ ইতিবাচক। দলগুলোর মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
নতুন জোট গঠন নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও অন্য ছয়টি দলও আলোচনা করছে। তবে বামপন্থি কয়েকটি দল জামায়াতের সঙ্গে সরাসরি বসতে রাজি নন।
বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেবে এবং জয়ী হলে সরকার গঠনের ঘোষণা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান বিএনপির থেকে ভিন্ন।
বাম ধারার দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতৃত্বে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠনের উদ্যোগ চলছে। এতে বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক পার্টি ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগসহ অন্যান্য সংগঠন জড়িত। এছাড়া ইসলামি দলগুলোও পৃথক জোট গঠনের চেষ্টা করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত তিনটি প্রধান জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথমটি বিএনপি ও উদার গণতান্ত্রিক দলগুলোর জোট, দ্বিতীয়টি জামায়াত নেতৃত্বে ইসলামি দলগুলোর জোট, এবং তৃতীয়টি বাম ধারার দলগুলোর জোট। এর বাইরে বাম-ডান, মধ্যম ও ইসলামি দলগুলো আরও দুটি পৃথক জোট গঠনের পথে আছে।
The post ভোটের আগে জোটযুদ্ধ জমে উঠছে appeared first on Bangla Affairs.
[ad_2]
https://slotbet.online/