উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর ফলে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি অবস্থান করছে দক্ষিণ ওডিশ্যা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের অদূরে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়।

নিম্নচাপের অবস্থান শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সকাল নাগাদ দক্ষিণ ওডিশ্যা-উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিমি ব্যাসের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিমি, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল, যা শুক্রবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয় এবং পরে সন্ধ্যায় নিম্নচাপে রূপ নেয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল যে এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।

এছাড়া, আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের কিছু কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।