[ad_1]
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজার। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা–কক্সবাজার–কলকাতা রুটের ফ্লাইট, যা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক যাত্রা।
জানা যায়, এই উপলক্ষে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। অনুষ্ঠানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, সিভিল এভিয়েশন এবং এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
সূত্র জানায়, এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ১০ অক্টোবর, কিন্তু একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিদেশে অবস্থান করার কারণে তা পিছিয়ে ১৭ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সপ্তাহে একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। যাত্রী সাড়া পেলে ধাপে ধাপে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ দেখায়নি। শুরুতে সরকারি সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও অনাগ্রহী ছিল, তবে উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে তারা রাজি হয়।
বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরের বর্ধিত রানওয়ে এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে, বর্তমান রানওয়ে দিয়ে বোয়িং ৭৮৭ এর মতো উড়োজাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব। বেবিচক জানিয়েছে, ২ অক্টোবর থেকে বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে।
এছাড়া গত ৭ আগস্ট আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেতে আইকাও-কে (ICAO) চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, ব্যাংক-বীমা ও এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ফ্লাই দুবাই ও ফ্লাই অ্যারাবিয়া-সহ কিছু বিদেশি এয়ারলাইন্স বিমানবন্দর পরিদর্শনের আগ্রহ দেখালেও এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। এদের পর্যালোচনা শেষ হতে আরও তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং অন্যান্য এয়ারলাইন্স কক্সবাজারকে একক রুট হিসেবে গ্রহণে সংশয়ে রয়েছে। তারা মনে করছে, শুধু কক্সবাজার দিয়ে ফ্লাইট চালালে যাত্রী সংকটে লোকসান হতে পারে। তাই বিমানের ফ্লাইট শুরুর পর যাত্রীর সাড়া দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজারে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে, সেই সঙ্গে লাভবান হবে পর্যটন, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, ও পরিবহন খাত। স্থানীয় অর্থনীতিতে এ কার্যক্রমের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেবিচকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কক্সবাজার থেকে ইউরোপ পর্যন্তও সরাসরি যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে। এটি বাংলাদেশের আকাশপথে নতুন এক দিগন্তের সূচনা করবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (এটিএম) গ্রুপ ক্যাপ্টেন নূর-ই-আলম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এটিসি বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আপাতত কলকাতা ও নেপালের ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যটননগরী কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুধু একটি উন্নয়ন প্রকল্প নয়, বরং এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পর্যটন এবং বৈশ্বিক সংযোগ জোরদার করার একটি বড় পদক্ষেপ। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—১৭ অক্টোবর নতুন ইতিহাস গড়ার দিন।
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com