[ad_1]
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ভেসে এসেছে ইরাবতী প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন। এটির শরীরের পুরো চামড়া উঠানো।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সৈকতের গঙ্গামতি এলাকার মৃত ডলফিনটিকে দেখতে পান ট্যুর গাইড এ্যাসোসিয়শনের সদস্য জামাল। পরে বন বিভাগ এবং উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) সমন্বয়ে ডলফিন টিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সৈকতের চর-গঙ্গামতি এলাকার ৩৩ কানি নামক পয়েন্ট এলাকায় ১ টি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন ভেসে এসেছিল।
উপরা’র আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, “সকালের জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল থাকে এ কারনে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তীরে ভেসে এসেছে ডলফিনটি। এটির শরীরের সম্পূর্ণ চামড়া উঠে গেছে। দুর্গন্ধে কাছে ঘেষা যাচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে গত ২-৩ দিন আগে মারা গেছে।
পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলো ডলফিনের বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক।চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১১টি, ২৪ সালে ১০টি ও এর আগে ২৩ সালে ১৫টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল কুয়াকাটাসহ অত্র এলাকায়। উপকূলীয় এলাকাজুড়ে পরিবেশ কর্মীরা সার্বক্ষণিক কাজ করছে ডলফিন নিয়ে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল হক বলেন, “শুধু অনুমান করে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। কেউ বলছেন জালে আটকে, কেউ বলছেন জাহাজের ধাক্কা, আবার কেউ বলছেন মাইক্রোপ্লাস্টিক দায়ী। কিন্তু এসবই অনুমান। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।”
বনবিভাগের কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, “কিছুদিন পর পর এসব মৃত ডলফিনের দেখা মিলছে। আমি উপরা’র সদস্যদের মাধ্যমে ডলফিন ভেসে আসার খবর পেয়েছি।আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করতেছি যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।”
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com