[ad_1]
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৯তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতী নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার বড় সন্তান শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশত্যাগ করেন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৫ বার দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার, ২০১৪ সালে তৃতীয়বার, ২০১৮ সালে চতুর্থবার এবং ২০২৪ সালে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
শেখ হাসিনার শিক্ষা জীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ওই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (অনার্স) শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলসহ শেখ হাসিনার পাঁচ ভাইবোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু, মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপে যান। সেখানেই অবস্থানকালে হত্যাকাণ্ডের খবর পান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার পরিস্থিতি না থাকায় স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৭ মে ছয় বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি।
শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যপ্রেমী শেখ হাসিনা লেখালেখিও করেন। তার লেখা ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘সাদা-কালো’, ‘ওরা টোকাই কেন’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ’, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংগ্রাম’, ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন’, ‘বিপন্ন গণতন্ত্র’, ‘সহে না মানবতার অবমাননা’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’, ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ ইত্যাদি।
গত প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকাকালে সাধারণত শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে থাকতেন তার জন্মদিনে। সেখানেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন পালন করতেন। পাশাপাশি দেশে আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করত। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এবারও জন্মদিনের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার জন্মদিন উপলক্ষে নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা।
[ad_2]
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ আব্দুল লতিফ
প্রধান সম্পাদকঃ এম এস এন মাসুক হিমেল
সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ হাউজ ২৪, রোড ৩, মনিপুরি পাড়া, ফার্মগেট ঢাকা।
আঞ্চলিক কার্যালয়ঃ ৭ মতি কমপ্লেক্স রোড চকবাজার চট্টগ্রাম
মোবাইলঃ ০১৯৯৪৪২২৭৮৯
ই-মেইলঃ news@dainikprovhatersangbad.com