[ad_1]
জামায়াত নেতার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আহ্বানমূলক বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এমন বক্তব্য দেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রিজভী এ প্রতিক্রিয়া জানান।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন— “আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আপস হবে না। যদি আমরা ক্ষমতায় আসার পর ভারত বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাহলে অন্তত ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে। তখন ১৯৭১ সালের অপবাদ মুছে যাবে।”
এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মুখপাত্র নাম উল্লেখ না করেই বলেন, “কেন এমন কথা আসছে যে, প্রতিবেশী দেশ আমাদের আক্রমণ করতে পারে, যুদ্ধ হতে পারে? এটা কি কোনো সাজানো বিষয়? সত্যিই আমাদের অনেক অমীমাংসিত সমস্যা আছে— পানি, বাণিজ্য, সীমান্ত ইত্যাদি। তবে এগুলো সমাধানের পথ হলো আলোচনা ও কূটনীতি। কিন্তু যুদ্ধের ভয় দেখানোর কারণ কী? এমন মন্তব্য দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে।”
রিজভী আরও বলেন, “আমরা এক সময় এক স্বৈরাচারের পতন দেখেছি। এখন আবার নতুন করে অন্য কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কিনা— তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। জামায়াত নেতার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের মন্তব্যের আড়ালে বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে কিনা— তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এগুলো আসলে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য, দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার ইঙ্গিত বহন করে।”
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
[ad_2]
https://slotbet.online/