[ad_1]
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনাপারের হতদরিদ্র একাধিক উপকারভোগী এক বছরেরও বেশি সময় ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছেন না। মাস্টাররোলে তাদের নাম থাকলেও ১৫ টাকা কেজি দরে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ হচ্ছে না।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, চরাঞ্চলের স্থল ইউনিয়নের ডিলার মো. হাসান আলী খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস ও তদারকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বরাদ্দকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রি করছেন। ৫৮৭ কার্ডধারীর জন্য বরাদ্দকৃত ৫৮৭ বস্তা চালের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৯০ বস্তা বিতরণ করা হয়েছে। বাকি চাল বিতরণ না করেই মাস্টাররোল তৈরি করা হয়েছে।
হতদরিদ্ররা জানিয়েছেন, অনেকের কার্ড আছে তা তারা জানেনই না। নওহাটার গোলজার শেখের নামে চাল উত্তোলন দেখানো হচ্ছে, অথচ তিনি কয়েক মাস আগে মারা গেছেন। নয়াপাড়া গ্রামের মোছা শাফি খাতুন তিন বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে থাকলেও তার নামের কার্ড ব্যবহার করে চাল উত্তোলন হচ্ছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি অফিসার মামুন সিরাজ জানান, তিনি ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট নিজে উপস্থিত থেকে ২৯০ বস্তা চাল বিতরণ করেছেন। দ্বিতীয় চালান বিতরণের বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি। পরে ডিলার মাস্টাররোলে স্বাক্ষর চাইলে তিনি আপত্তি জানান এবং বিষয়টি ইউএনওকে অবগত করেন।
ডিলার হাসান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি নিয়ম অনুযায়ী যাদের কার্ড আছে তাদের চাল দিয়েছি।” চৌহালী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তদারকি অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলেও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কার বাড়ি কী সমস্যা তা ইউএনও দেখবেন।”
হতদরিদ্ররা এখনও তাদের বরাদ্দকৃত চালের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
[ad_2]
https://slotbet.online/