[ad_1]
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত “মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি” বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নিয়েছে।
সম্মেলনের আগে সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক হয়। সেখানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানবিক পরিস্থিতির অবনতি, কক্সবাজারে আশ্রিত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ওপর আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়া এবং তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, গত দেড় বছরে প্রায় দেড় লাখ নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এতে সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করেছে এবং আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়িয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের আন্তর্জাতিক সম্মেলন একটি কার্যকর রোডম্যাপ তৈরি করবে এবং বাংলাদেশে আশ্রিত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য জরুরি অর্থ সহায়তা সংগ্রহে সহায়ক হবে। উল্লেখযোগ্য হলো, শুধুমাত্র রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বৈশ্বিক সম্মেলন এবারই প্রথম।
গ্রান্ডি তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি কক্সবাজারে আয়োজিত আঞ্চলিক সম্মেলনের প্রশংসা করেন, যেখানে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা নেতারা চারদিনব্যাপী আলোচনায় সরাসরি অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ আরও জোরদার করার পরামর্শ দেন, যাতে সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান পাওয়া যায়।
এদিকে বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ইউএনএইচসিআর প্রধানকে চলমান রোহিঙ্গা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করেন। তাঁর মতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
[ad_2]
https://slotbet.online/