[ad_1]
শহীদ তাজউদ্দিন স্মৃতি পার্কের অবৈধ হস্তান্তর ও নাগরিক ব্যবহারের সুযোগ বন্ধের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পরিবেশবাদীদের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিজাউল ইসলাম এবং গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের পক্ষ থেকে ড. ওয়াহিদুজ্জামানকে নোটিশ পাঠান।
পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, শহীদ তাজউদ্দিন স্মৃতি পার্ক (পূর্ববর্তী গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক) আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে চুক্তির মাধ্যমে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে নাগরিকদের পার্ক ব্যবহারের অধিকার বন্ধ করা এবং ক্লাবকে খেলাধূলার জন্য ভাড়া আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশ প্রেরণকারীরা হলেন সংবিধান রিফর্ম কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সিএলপিএ এর সেক্রেটারি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মাহবুবুল আলম, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মাহমুদ খান, পরিবেশকর্মী আমিরুল রাজিব ও তেতুল তলা মাঠ রক্ষা কমিটির সমন্বয়কারী সৈয়দা রত্না।
পরিবেশবাদীরা বলেন, ডিএনসিসি ও গুলশান ইয়ুথ ক্লাব চুক্তি প্রণয়নের সময় সুপ্রিম কোর্টের ৩টি রীটের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। চুক্তিটি মাঠ, পার্ক ও জলাধার আইন ২০০০, রাজউকের সঙ্গে ঢাকার সিটি করপোরেশনের চুক্তির শর্তাবলী এবং ডিএনসিসি সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর ধারা ৮০ (১) (গ) লঙ্ঘন করেছে। তারা আরও অভিযোগ করেন, সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি ক্লাবের লাভের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি দুর্নীতির অন্তর্ভুক্ত।
প্রসঙ্গত, গুলশান ইয়ুথ ক্লাব বনাম রাজউক রীট মামলায় গুলশান ইয়ুথ ক্লাব ৩১ আগস্ট ২০২২ তারিখে হেরে যায়। ওই মামলায় আদালত শহীদ তাজউদ্দিন স্মৃতি পার্কের প্লট নং ১৩০এ-তে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা উচ্ছেদ করে পার্কের মূল চরিত্র ফিরিয়ে আনা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু গুলশান ইয়ুথ ক্লাব এই তথ্য গোপন করে গত বছরের ০৬ মার্চ ডিএনসিসির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে।
পরিবেশকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ডিএনসিসি প্রশাসক, রাজউক চেয়ারম্যান, গণপূর্ত উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং পরিবেশ উপদেষ্টাকে আহবান জানিয়েও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা অভিযোগ করেছেন, এ ধরনের অবৈধ চুক্তি শুধুমাত্র আইনের লঙ্ঘন নয়, বরং দুর্নীতির শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ।
[ad_2]
https://slotbet.online/