[ad_1]
দীর্ঘ ৬ বছরের বেশি সময় পর ফেডারেল শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থায় পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাজেটের অস্থায়ী অর্থায়ন (স্টপগ্যাপ) নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা একে অপরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। তাই অর্থবছরের শেষ দিনে (৩০ সেপ্টেম্বর) ফেডারেল সরকার চালু রাখার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে বাজেট পাস আবশ্যিক ছিল।
তবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা সিনেটে তহবিল বরাদ্দের বিভিন্ন শর্তে একমত হতে পারেননি। ১০০ সদস্যের মার্কিন সিনেটে বিল পাসে প্রয়োজন ছিল ৬০টি ভোট। কিন্তু রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও ভোট পাওয়া গেছে মাত্র ৫৫টি। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের পাল্টা প্রস্তাবও ৪৭-৫৩ ভোটে আলোর মুখ দেখেনি সিনেটে।
মূলত স্বাস্থ্যখাতের সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি ‘মেডিকেড’ নিয়েই দুই দলের মধ্যে বড় বিভাজন দেখা দিয়েছে। জরুরি সেবাগুলো সীমিত আকারে চালু থাকলেও শিগগিরই সমঝোতা না হলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গবেষণা, পরিবহনসহ বহু খাতেই কার্যক্রম আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
‘শাটডাউন’ মানে কী?
সরকারি বাজেট অনুমোদন না হলে জরুরি না এমন সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা সেবা, বিমান চলাচল থেকে শুরু করে দেশটির জাতীয় উদ্যানের পরিচর্যাসহ নানা খাতে কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
ফেডারেল সংস্থাগুলো অর্থায়নের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল। কংগ্রেসে বাজেট আইন পাশ না হলে প্রেসিডেন্ট তা স্বাক্ষর করতে পারেন না। ফলে এসব সংস্থা অর্থ বরাদ্দ না পেয়ে কার্যক্রম বন্ধে বাধ্য হয়। এসময় সরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক ছুটিতে পাঠানো হয়।
কোন কোন সেবা চালু থাকবে?
দেশের জরুরি সেবাগুলো চালু থাকবে। যেমন- এফবিআই, সিআইএ, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী, ন্যাশনাল গার্ড বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বন্ধ হবে না।
সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, প্রবীণ যোদ্ধাদের স্বাস্থ্যসেবা ও মেডিকেয়ার কার্যক্রম চলবে। ডাকবিভাগও নিয়মমতো চিঠিপত্র পৌঁছে দেবে।
কর্মীদের কী হবে?
সর্বশেষ ২০১৮ সালের শাটডাউনে ৮ লাখ সরকারি কর্মীর মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজারকে সাময়িক ছুটিতে (ফার্লো) পাঠানো হয়েছিল। এবারও অনুরূপ পরিস্থিতি হতে পারে। যদিও কাজ ফিরে পেলে তারা বকেয়া বেতন পেয়ে থাকেন, তবে সাময়িক সময়ের জন্য তাদের আর্থিক চাপ তৈরি হয়। কোন সংস্থার কতজন কর্মী ফার্লো হবেন, তা নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাই। এবারও ব্যাপক ছাঁটাই হতে পারে বলে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রে এ পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত ২০ বার এ ধরনের শাটডাউন বা সরকারের অর্থায়ন সংকট দেখা গেছে। ১৯৯৫ সালে বিল ক্লিনটনের প্রশাসন ও রিপাবলিকান কংগ্রেস সরকারের ব্যয়সংক্রান্ত সমঝোতায় ব্যর্থ হলে প্রায় এক মাস সরকার বন্ধ ছিল।সর্বশেষ ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সীমান্তপ্রাচীর প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে বিরোধে সরকার ৩৫ দিন অচল ছিল।
[ad_2]
https://slotbet.online/