গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত

অনলাইন ডেস্ক / ১৫৩ Time View
Update : শনিবার, ৪ মে, ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে। খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬২২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৬ জন। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য মিশরে পৌঁছেছে। ইসরায়েল হামাসকে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। হামাস এ বিষয়ে সম্মত না হলে রাফায় স্থল অভিযান শুরু হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গাজার জনগণ, জিম্মি এবং তাদের পরিবার এবং ওই অঞ্চল বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থ রক্ষায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েল এবং হামাসকে চাপ দিচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর বরাত দিয়ে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন।

সেখানে বলা হয়, ওই নারীদের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৫৫ হাজার নারী রয়েছেন, যারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশিরভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

এদিকে গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/