কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈবিছাআ) অভ্যন্তরীণ কোন্দল রূপ নেয় সংঘর্ষে। উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন—সাজেদুল ইসলাম সবুজ, রঞ্জু মিয়া, মেহেদী হাসান রনি ও রাফি। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, এসব প্রকল্পের বেশিরভাগ বিল তিনি ইতোমধ্যেই উত্তোলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সবুজের আহ্বানে শহীদ মিনার চত্বরে একটি বৈষম্যবিরোধী আলোচনা সভা ডাকা হয়। সেখানে অপর পক্ষের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান রনি ও তার কয়েকজন সহযোগী উপস্থিত হয়ে সবুজের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে দ্রুতই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, “জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে উপজেলা পর্যায়ের সব সমন্বয়কদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করি। হঠাৎ করেই ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু ছেলে রনির নেতৃত্বে এসে আমাদের ওপর চড়াও হয়।”
অন্যদিকে মেহেদী হাসান রনি দাবি করেন, “সবুজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে ঠিকাদার ও চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে প্রকল্প আদায় করছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করতেই গেলে তিনি প্রথমে হামলা চালান।”
রাফি নামের আরেক সমন্বয়ক জানান, “সবুজ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে নানা অনিয়ম করে আসছেন। প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উচিত তাকে নজরদারির আওতায় আনা।”
সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
https://slotbet.online/