ববি ভিসির কাছে শিক্ষার্থীদের ৮২ দাবি

Reporter Name / ৪ Time View
Update : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিক আলম ( অন্তবর্তিকালীন) এর কাছে গতকাল শনিবার (২৪মে) ৮২ টি দাবি উত্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

দাবি গুলোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী দাবি ২১টি, স্বল্পমেয়াদী দাবি ৪১টি ও শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নের ২০টি দাবি উত্থাপন করেন।

(শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ)
১. একটি এপ্লিকেশন ডিজাইন করা যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সার্ভিস শিক্ষার্থীর স্তরে সহজলভ্য হবে।
২. প্রতিটি ক্লাসরুমে স্মার্টবোর্ড প্রদান করতে হবে।
৩. ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক ডিজিটাল লাইব্রেরী স্থাপন করতে হবে।
৪. এডমিশন থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট তোলা পর্যন্ত যাবতীয় অ্যাপ্লিকেশন ও পেমেন্ট অনলাইনে প্রদান করতে হবে।
৫. স্মার্ট আইডি কার্ড ও স্মার্ট এটেন্ডেন্স সিস্টেম চালু করতে হবে।
৬. এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (বেতন ফান্ডিং) চালু করতে হবে।
৭. সমগ্র অঞ্চলক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।
৮. সুপার স্পিড ইন্টারনেট জোন চালু করতে হবে। স্টারলিংক subscription আনার ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে। এতে করে দুর্যোগকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
৯. স্মার্ট নোটিশ বোর্ড স্থাপন।
১০. সোলার সিস্টেম ইনস্টলেশন ও স্মার্ট লাইটিং চালু করা।
১১. বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা।
১২. অনলাইন ক্লাস ইভ্যালুয়েশন সিস্টেম চালু করা।
১৩. প্রতিটি ক্লাসরুমে ডিজিটাল ঘড়ি স্থাপন।
১৪. ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এবং ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক শাখা ওয়েবসাইট তৈরি।
১৫. শিক্ষার্থীদের শিক্ষক মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
১৬. Virtual exchange programs with foreign teachers and students
১৭. Cloud based research environment.
১৮. Paperless Administration and digital archive.
১৯. ওয়ান ওয়ে সার্ভিস কল সেন্টার উদ্বোধন করতে হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ ফরওয়ার্ড হবে।
২০. English language এ দক্ষতা অর্জনের জন্য English language lab গঠন। পাশাপাশি Language leaming center গঠন।

(দীর্ঘমেয়াদী দাবী সমূহ)
১. ক্যাম্পাসের আয়তন ৩০০ একর বৃদ্ধি করতে হবে৷
২. নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও শতভাগ অবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:২০ নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুততম সময়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিতে হবে।
৪. সেশন জট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলো পিচ ঢালাই করতে হবে এবং ফুটপাত, ড্রেনেজ সহ মাস্টারপ্লান অনুযায়ী অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে তিন মাসের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী মেগা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
৬. চলতি বছরে সমাবর্তন আয়োজন করতে হবে
৭. স্থায়ী কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মাণ করতে হবে।
৮. বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, অন্তঃজেলা বাস চালু এবং ফিটনেসবিহীন বাস বাদ দিতে হবে।
৯. স্বতন্ত্র কেন্দ্রীয় চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে৷
১০. কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, জিমনেশিয়াম, সুইমিং পুল এবং অডিটোরিয়াম নির্মাণ করতে হবে।
১১. প্রসাশনকে বিকেন্দ্রীকরণ ও সকল সেবা ডিজিটালাইজড করতে হবে।
১২. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত বই সংকলন করতে হবে।
১৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণাধর্মী কাজ উক্ত ম্যাগাজিনে ফুটিয়ে তুলতে পারে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
১৪. অভাবপীড়িত শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক তহবিল গঠন।
১৫. ক্যাম্পাসে পরিকল্পিত বনায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
১৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪নং গেট থেকে শুরু করে মাইশা চত্বর পর্যন্ত বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়ক সম্প্রসারণ এর ব্যবস্থা করা এবং মহাসড়কের দুপাশে পথচারী চলাচলের জন্য ফুটপাতের ব্যবস্থা করা ও পর্যান্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে রাস্তার পাশে ড্রেনের সুব্যবস্থা করা।
১৭. আবসিক হলের গেস্টরুমগুলো সংস্কার করতে হবে।
১৮. ক্লাসরুম আধুনিকায়নের স্বার্থে পুরনো কাঠের বেঞ্চ ওঅপসারণ করে আধুনিক চাপ বেঞ্চ ও সিঙ্গেল সিট স্থাপন।
১৯. পরিত্যাক্ত ছয়দফার স্থানে একটি আধুনিক ভাস্কর্য নির্মাণ ও আশেপাশে স্থান ভরাট করে ফুলগাছ লাগানো সহ শিক্ষার্থীদের বসার সুব্যবস্থা করতে হবে।
২০. ল্যাব ও ক্লাস চলাকালীন পুরুষ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবনে নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা করতে একটি জায়গা বরাদ্দ করতে হবে।
২১.চারুকলা, ইসলামিক স্টাডিজ, আরবী সাহিত্য বিভাগ চালু করা,

(স্বল্পমেয়াদী দাবি সমূহ)
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার পরীক্ষায় নাম রোল বিহীন খাতা মূল্যায়ন / পুনঃমূল্যায়ন ও শিক্ষক মূল্যায়ন
ব্যাবস্থা চালুকরণ।
২. দ্রুততম সময়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পাদন করে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কার্যকরী ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৩. জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থানকারী চিহ্নিত আওয়ামী দোসর শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ক্যাডারদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রসাশনিক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৪. পূর্ববর্তী সময়ের সকল নিয়োগবোর্ড বাতিল করে নতুন নিয়োগবোর্ড গঠন করতে হবে। নিয়োগবোর্ড পুনর্গঠন না হও য়া পর্যন্ত কোনো নতুন নিয়োগদেয়া যাবে না । সেই লক্ষ্যে দ্রুত
পুনর্গঠন করতে হবে।
নিয়োগবোর্ড
৫. বিগত উপাচার্যের আমলে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার ইন্ধনদাতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ে গঠিত সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কমিটি এবং সকল জানিপপ (জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ ) সদস্যদের সিন্ডিকেট সদস্যপদ বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।
৬. জুলাই গণহত্যার সহযোগী ও ৪ঠা আগস্ট শেখ হাসিনাকে রক্ষা য় আয়োজিত গোপন Zoom মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেও য়া’ শিক্ষকেরা কোন একাডেমিক বা প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবেন না।
৭.ক্যাফেটেরিয়া ও হল ভর্তুকি চালুকরণ। কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া-তে অবিলম্বে ২০ টাকা মূল্যের খাবার প্যাকেজ চালু করা।
৮. গ্রাউন্ডফ্লোর থেকে গেট নং- ০৩ অব্দি সড়ক জরুরী ভিত্তিতে পিচঢালাই করতে হবে।
৯. ক্যাম্পাস সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, মুক্ত মঞ্চ ও গ্রাউন্ড ফ্লোরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা প্রদান।
১০. ফুটপাত ও ওয়াকওয়ে লাইটিং করে নারী শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করা।
১১. নারী শিক্ষার্থীদের কমনরুম সংস্কার করতে হবে, একাডেমিক ভবনের নামাজকক্ষে অজুর ব্যাবস্থা এবং নিচ তলায় মেয়েদের জন্য একটা পৃথক ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, পরিবহন সুবিধা আধুনিকায়ন ও বাস স্টপেজ সংখ্যা বৃদ্ধি।
১৩. ল্যাবও মুটকোর্ট স্থাপন এবং গবেষণা সুবিধা বৃদ্ধি।
১৪. শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শর্তবিহীন থিসিস / রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ ও একাধিক বিষয়ে মাস্টার্স চালু।
১৫. ভর্তি ফী, পরীক্ষা ফী, হল ফী কমানো এবং সনদ ফী ও বিভাগ উন্নয়ন ফী বাতিল। বিনামুল্যে সকল সনদ/ সাময়িক সনদ বিভাগ থেকে প্রদান।
১৬. শতভাগ আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অভাবপীড়িতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবাসন ভাঙা নিশ্চিত করতে হবে।
১৭. অর্থ সংক্রান্ত সহযোগিতা ফাইল তিন দিনের ভিতর নিষ্পত্তি, ব্যাংকিং সিস্টেম ডিজিটালাইজ করা ও ছাত্র- শিক্ষক পরামর্শ কেন্দ্র সক্রিয়ভাবে চালুকরণ।
১৮. পুকুর ও ডোবাগুলো সংস্কার করে ওয়াকওয়ে ও পর্যাপ্ত বসার স্থান নিশ্চিত করতে হবে।
১৯. অনুষদ ভিত্তিক সেমিনার সিম্পোজিয়াম আয়োজন বাধ্যতামূলক করা।
২০. শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের অধীনে রুটিনমাফিক ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২১. শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে প্রশাসন ও শিক্ষার্থী সমন্বয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠন ও মাসিক পর্যালোচনার ব্যাবস্থা করা।
২২. হল ফি ৮০% কমাতে হবে এবং হলের রিডিং রুমে আইপিএস স্থাপন করতে হবে। সংকটকালীন সময়ে জেনারেটরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাবস্থা করতে হবে।
২৩. বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটে স্পষ্টভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংযোজনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
২৪. ছেলেদের দুই হলে স্থায়ী ইমাম ও কেন্দ্রীয় মন্দিরে স্থায়ী পুরোহিত নিয়োগ দিতে হবে।
২৫. বিদ্যুতের অপচয় রোধকল্পে টাস্কফোর্স গঠন করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
২৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও হলের ওয়াশরুম সংস্কার ও টয়লেট্রিজ সামগ্রি সরবরাহ করা।
২৭. শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকল্পে ২৪ ঘণ্টা ১জন ডাক্তারের চিকিৎসাকেন্দ্রে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে ও দ্রুত বাজেট করে অতিপ্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি (এক্সরে, ইসিজি, নেবুলাইজার, ডোপটেস্ট সরঞ্জাম) ক্রয় করতে হবে। রোগভেদে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালো কোম্পানির ঔষধ মেডিক্যাল সেন্টারে মওজুদ করতে হবে।
২৮. মানকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে অম্লীলতা রোধকল্পে শাস্তির ব্যাবস্থা ঘোষণা করতে হবে।
২৯. বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর নীতিমালা প্রনয়ন করতে হবে।
৩০. বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত কাগজের মান উন্নত করতে হবে। ভালোমানের একাডেমিক সার্টিফিকেট সরবরাহ করতে হবে।
৩১. বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের হেলথকার্ড, ডায়েরী ও বর্ষপঞ্জিকা প্রদান। প্রতিটি বিভাগকে আধুনিক হার্ডকপি সিলেবাস প্রদানের নির্দেশ দিতে হবে।
৩২. ক্লাসরুম ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে এয়ার কন্ডিশন স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগকে নির্দেশনা নিতে
হবে।
৩৩. প্রতিটি ক্লাসরুমে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন।
৩৪. লাইব্রেরীতে সিট সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সম্পূর্ণ ৩য় তলাকে রিডিং রুম হিসেবে চালু করতে হবে।
৩৫. জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হল সংস্কার করতে হবে এবং এর রেন্ট যৌকিকভাবে কমাতে হবে।
৩৬. ক্যাম্পাসের বিদ্যমান অনুমোদিত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনসমূহের জন্য আর্থিক সহযোগিতা ফান্ড চালু করতে হবে।
৩৭. শিক্ষার্থীদের জব মার্কেটে উদ্যোক্তা হতে ও বিদেশে উচ্চতর পড়াশোনার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করতে আলাদা কমিটি গঠন এবং বার্ষিক ইন্টার্ন জব ফেয়ারের আয়োজন করা।
৩৮. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা রোধকল্পে সার্বক্ষণিক একজন অভিজ্ঞ মনঃচিকিৎসক নিয়োগ দিতে
হবে।
৩৯. দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ নির্মূলে একটি স্বচ্ছ তদন্ত কমিটির গঠন করা এবং সকল সেক্টরে তথ্য সংরক্ষণ অধিকার আইন ২০০৯ বাধ্যতামূলক করা।
৪০. বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুতসুবিধা সহজলভ্য করার জন্য গ্রাউন্ডফ্লোর, ক্লাসরুম ও কমনরুমেডিজিটাল ডিভাইস চার্জ দেয়ার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক প্লাগ পয়েন্টার যুক্ত করতে হবে। একইসাথেলাইব্রেরী ও রিডিংরুমে প্রতিটি ডেস্কের সাথে ডিজিটাল ডিভাইস চার্জ দেয়ার জন্য প্লাগ পয়েন্টার যুক্ত করতে হবে।
৪১. জুলাই স্মৃতিফলক নির্মাণকাজ পূর্ববর্তী নকশায় নতুন কমিটি গঠন করে অতিদ্রুত শেষ করতে হবে।

উল্লেখ্য,দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসাবে পরিচিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন সময়কালে বিশ্ববিদ্যালটি ক্রমননয় অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। তখন প্রশাসনিক কার্যালয়ে তালাসহ অ্যাকাডেমিক শাটডাউনের মতো কর্মসূচি পালন করেছি শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ কঠোর কর্মসূচি হিসেবে শিক্ষার্থীরা অমরণ অনশনসহ দক্ষিণবঙ্গ (ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক) অচল করে দেন। এক পর্যায় মঙ্গলবার (১৩মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাবেক এই উপাচার্য অপসারণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ উপাচার্য হিসেবে (১৩মে) নিয়োগ প্রাপ্ত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিক আলম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/