বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মৌলবাদী গোষ্ঠীকে একত্রিত করছেন এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির ভেতরে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
রোববার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশ বাঁচাও, বন্দর বাঁচাও’ আন্দোলনের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর বলেন, “আমরা যদি রাস্তায় নামি, তাহলে ড. ইউনূস ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবেন না। তারপরও আমরা চাই তিনি সফল হোন। কারণ তার সাফল্য মানেই হবে আমাদের আন্দোলনের সাফল্য।”
তিনি অভিযোগ করেন, ড. ইউনূস সুবিধা নেওয়ার কৌশল হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের নাটক সাজিয়েছেন।
“তিনি বলেছেন, তিনি চলে যাবেন—কিন্তু কেউই তা বিশ্বাস করছে না। বরং মনে হচ্ছে, সুযোগ নিচ্ছেন, প্রতিশ্রুতি পূরণ না করেই থাকতে চান,” বলেন গয়েশ্বর।
তিনি দাবি করেন, এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের পরেই পদত্যাগের নাটক শুরু হয়।
“নাহিদকে ডেকে বলা হলো—আন্দোলন থামাতে না পারলে আমি থাকবো না। অথচ পরদিনই আরেক উপদেষ্টা এসে তা অস্বীকার করেন। এটি পুরোপুরি নাটক।”
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও কর্মীদের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনায় ফিরে গেছে। কিন্তু কিছু নেতা সচিবালয়, ডিসি অফিস, ওসি রুমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা যেভাবে আচরণ করছে, তাতে জনগণ যাদের মাথায় তুলেছিল, সেসব নেতাকে আবার মাটিতে নামিয়ে আনবে।”
বন্দর ইস্যুতে তিনি বলেন, “বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনতে সমস্যা নেই, কিন্তু দেশের বন্দর লিজ দেওয়া যায় না। গার্মেন্টস খাতে যেমন পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল, এখানেও তা হতে পারে। তবে দেশের সম্পদ বিক্রি নয়।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে দুর্নীতি কমেনি, বরং বেড়েছে। আগের আমলের দুর্নীতিবাজরাই এখনো বহাল তবিয়তে আছে। এই সরকার কাউকে শাস্তি দেয়নি। আমরা চাই গণতন্ত্র ফিরুক, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হোক। তার আগেই যেন মৃত্যু না হয়।”
প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে লিজ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনুচিত।
তাদের দাবি, গণশুনানি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
https://slotbet.online/