লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ২৪ জনসহ পাটগ্রাম, আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদরসহ জেলার পাঁচটি স্থানে মোট ৫৫ জন ‘ভারতীয়কে’ পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর বাধা এবং এলাকাবাসীর কঠোর প্রতিরোধে ওই ৫৫ জন ব্যক্তি এখন শূন্য রেখায় অবস্থান করছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা ও জেলার আরও চারটি সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত অর্ধশতাধিক ভারতীয় নাগরিককে গতরাতে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ যৌথভাবে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বুড়া সারডুবি সীমান্তে ১৬ জন, আমঝোল সীমান্তে ৬ জন, সিন্দুর্না সীমান্তে ২ জন, আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে ১৩ জন, পাটগ্রাম উপজেলার ধবল সতিতে ৫ জন এবং লালমনিরহাট সদর এলাকায় ১৩ জনকে পুশইন করেছে। পরে বিজিবি ও স্থানীয়রা তাদের আটক করে।
বর্তমানে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠানোর (পুশব্যাক) চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি। এতে সীমান্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিজিবির পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সীমান্ত এলাকার মানুষজন।
পুশইনের শিকার এসব মানুষের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। তাদের খাবার, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার প্রয়োজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৫ বিজিবি, লালমনিরহাটের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, “সীমান্ত এলাকাগুলোতে মাইকিং করে বারবার স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। অপরিচিত কাউকে দেখলেই বিজিবিকে খবর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করে থাকে, তাহলে আমরা তাদের স্ব-সম্মানে ফিরিয়ে আনবো।”
https://slotbet.online/