আবাসিক হলের অতিরিক্ত ছুটি কমিয়ে যৌক্তিক ছুটি ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি-এর সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী বলেন, “প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি আগে থেকেই আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন হল খোলা রাখার ব্যাপারে। কিন্তু পরে তারা সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা না করে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করেছেন। আমরা চাই এই ছুটি কমিয়ে যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণ করা হোক।”
সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বাধন বিশ্বাস স্পর্শ বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ২-৩ দিন হল বন্ধ থাকে, অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস ও হল একসাথে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়। অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ৫-৭ দিনের ছুটি দাবি করলেও প্রশাসন কার ইন্ধনে এতদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে, তা আমাদের জানা নেই। এই অযৌক্তিক ছুটি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্যও খুবই অস্বস্তিকর।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, “শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সব সদস্যের সম্মতিক্রমেই হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরাই আমাদের মূল স্টেকহোল্ডার।”
তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতে যদি কোনো নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে আমরা পুনরায় আলোচনা করব। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি হলে থাকতে চায়, তাহলে আমাদের তা রাখতে কোনো আপত্তি নেই।”
এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়।
https://slotbet.online/