রাজধানীর কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামানকে ঘিরে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ঘটনার সময় বাসায় অবস্থান করায় দায় এড়ালেও, দায়িত্ব পালনে গাফিলতির বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ধানমন্ডি জোনের উপপুলিশ কমিশনার জিসানুল হকের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওসি মোক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। তবে তিনি ঘটনার সময় থানায় উপস্থিত না থেকে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।
একই প্রতিবেদনে কলাবাগান থানার এসআই বেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ২ মে ড. আবদুল ওয়াদুদের বাসায় অভিযানের সময় বহিরাগতদের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন তিনি।
অভিযোগকারী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আবদুল ওয়াদুদ লিখিত অভিযোগে জানান, এসআই বেলাল ও মান্নান তাকে থানায় না নেওয়ার শর্তে ১ কোটি টাকা দাবি করেন। দেন-দরবারের পর ২ লাখ টাকা দিলে সাময়িকভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে অংশ নেওয়া সিভিল পোশাকে থাকা তিন ব্যক্তি ডিবি পরিচয় দিয়ে তার বাসায় পাহারায় ছিলেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তারা বাসা থেকে বিদেশি পাখি, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও একটি গর্ভবতী হরিণ নিয়ে যায়। অভিযানের সময় কোনো ওয়ারেন্ট বা মামলার কাগজ দেখানো হয়নি।
৫ মে তদন্তের স্বার্থে ওসি মোক্তারুজ্জামান, এসআই বেলাল উদ্দিন ও এসআই মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে সাম্প্রতিক তদন্তে ওসি মোক্তারুজ্জামান নির্দোষ প্রমাণিত হলেও, এসআই বেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, “আমি ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। কেন আমার নাম দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না। আমি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।”
তদন্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে ডিএমপি সদর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, কোনো নিরপরাধ পুলিশ সদস্য যাতে হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
https://slotbet.online/