মোংলায় প্রকাশ্যে দিবালোকে যুবদল নেতা রাহাত হাসান মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে মোংলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকাল ৫টায় পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর মার্কেট চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এ সময় বক্তারা যুবদল নেতা মুন্নার ওপর এই ন্যাক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলার নির্দেশদাতাসহ সব সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় লাগাতার কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

এসময় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহজালাল সাব্বির, সদস্য সচিব নুর উদ্দিন টুটুল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক দিদারুল ইসলাম দিদার, পৌর বিএনপির সদস্য শফিকুল ইসলাম শান্ত, যুবদল নেতা মামুন ভূইয়া, বি এম ওয়াসিম আরমানসহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে মোংলা পোর্ট পৌরসভার পূর্ব পাশের সড়কে গিয়াস উদ্দিন সড়কের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে ও স্থানীয় যুবদল কর্মী রাহাত হোসেন মুন্নাকে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে প্রথমে তাকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবার জানিয়েছে।

এ ঘটনায় যুবদল নেতা মুন্নার স্ত্রী তানজিলা আক্তার স্মৃতি বাদী হয়ে ১৮ জনের নামসহ ৯-১০ জন অজ্ঞাতকে উল্লেখ করে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মোংলা থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার (১১ জুন) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন মোংলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোহন উদ্দিন মোহন ও বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শরিফুল ইসলাম মিঠু।

মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন জানান, যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৯-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।