বাংলা অ্যাফেয়ার্সে সংবাদ প্রকাশ: বরিশালে যুবদল নেতাকে শোকজ

Reporter Name / ৫২ Time View
Update : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫


বরিশাল মহানগর যুবদলের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক রমজান হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশুদের শ্লীলতাহানি, ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গাড়ির গতিরোধ এবং গালিগালাজের মতো গুরুতর অভিযোগে বাংলা অ্যাফেয়ার্সে ১২ জুন একটি সংবাদ প্রকাশের পর তাকে শোকজ করেছে বরিশাল মহানগর যুবদল। সংগঠনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মহানগর যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান চপলের স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে জানা যায়, বরিশাল মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম জাহান অভিযোগটি আমলে নিয়ে সহ-সভাপতি কাইয়ুম রেজওয়ান সাগর ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহফুজ রেজা খান মিঠুকে নিয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান চপল বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রমজান হাওলাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে, প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে হয়রানির অভিযোগে রমজান হাওলাদার ও মাছুম মাঝির নাম উল্লেখ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রুবিনা আক্তার।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন (মঙ্গলবার) রাত ১০টার দিকে রুবিনা আক্তার তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও ফুফুকে নিয়ে প্রাইভেটকারে কলাডেমা খানবাড়ি থেকে সমাজকল্যাণ এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে সমাজকল্যাণ অফিসের সামনে রমজান হাওলাদার ও মাছুম মাঝি আরও ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি নিয়ে গাড়ির গতিরোধ করেন।

তারা নিজেদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে গাড়িতে ইয়াবা আছে বলে দাবি করে তল্লাশি চালাতে চান। একপর্যায়ে তারা রুবিনার সন্তানদের জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ, শারীরিক লাঞ্ছনার চেষ্টা এবং মেয়েদের শ্লীলতাহানার চেষ্টা করেন। রুবিনা আক্তারের অভিযোগ, পুরো ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত, যার উদ্দেশ্য ছিল অর্থ লুট।

উল্লেখযোগ্য যে, রমজান হাওলাদারের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহর ব্যানার ও ছাত্রদলের কার্যালয় ভাংচুরসহ সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলার একাধিক ঘটনা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে রয়েছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং দলে আতঙ্ক তৈরি করেন। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

নেতাকর্মীরা অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে না পারে।

বরিশাল মহানগর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সজীব বেগ মিসাদ বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে—দলের মধ্যে কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এর আগেও এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ শুনেছি। তাই আমরা চাই, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/