৯০ বছর বয়সী বিমলা রানীর জীবন এখন যেন অবহেলার এক নির্মম চিত্র। বগুড়ার বড়কুমিড়া হিন্দুপাড়ার এই নারী কখনো বাড়ির কোণে, কখনোবা বাঁশঝাড়ের নিচে পড়ে থাকেন। নিজের সন্তানদের ঘরেও তাঁর জন্য কোনো ঠাঁই নেই। দিনের পর দিন তিনি না খেয়ে থাকেন, পান না প্রয়োজনীয় যত্ন বা আশ্রয়।
বিমলা রানী প্রয়াত হরিপদ চন্দ্রের স্ত্রী। তাঁর তিন ছেলের কেউই মা’র দেখভাল করেন না। প্রতিদিন সকালেই তাঁকে বাড়ি থেকে দূরে ফেলে আসা হয়। এমনকি সোমবার রাতে মেজো ছেলে তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেন। স্থানীয়দের চাপে রাতে ফেরত নেওয়া হলেও মঙ্গলবার সকালে আবারও বৃদ্ধাকে বের করে দেওয়া হয়। বিকেল পর্যন্ত তিনি তীব্র রোদে একফোঁটা পানি না পেয়ে অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম হন।
স্থানীয়দের মাধ্যমে এমন অমানবিক পরিস্থিতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। তাঁরা প্রথমে বিমলা রানীকে উদ্ধার করেন, খাবার কিনে দেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। পরে পরিবারের সদস্যদের ডেকে এনে তাদের দায়িত্বশীল আচরণের বিষয়ে কঠোরভাবে সচেতন করেন।
সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট আল ফাহাদ বলেন, “মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের ভুল স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে এমন অবস্থা যেন আর না হয় সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।”
এই ঘটনার পর স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বিমলা রানীর সন্তানদের উদাসীন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
https://slotbet.online/