মাত্র সাত দিন আগে ব্রাইটন ছেড়ে চেলসিতে পা রেখেছেন হোয়াও পেদ্রো। দ্রুতই জায়গা পেয়েছেন ক্লাব বিশ্বকাপের দলে। অভিষেকও হয়েছিল পালমেইরাসের বিপক্ষে, তবে সেদিন ছিলেন অনেকটাই নিস্প্রভ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই বাজিমাত করলেন এই ব্রাজিলিয়ান তরুণ।
বুধবার (৮ জুলাই) নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিজের সাবেক ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে জোড়া গোল করে চেলসিকে ২–০ গোলে জয়ের মাধ্যমে পৌঁছে দিলেন ফাইনালে।
এই জয়ের ফলে টানা ১৩ বার ইউরোপিয়ান ক্লাবই ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা নিশ্চিত করল। সর্বশেষ ইউরোপের বাইরে কোনো ক্লাব শিরোপা জিতেছিল ২০১২ সালে, যখন ব্রাজিলের করিন্থিয়ান্স চেলসিকে হারিয়েছিল।
আগামী রোববার ফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ হবে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার বিজয়ী দল।
ম্যাচের ১৮ মিনিটেই বাঁদিক দিয়ে দুর্দান্ত এক শটে চেলসিকে এগিয়ে দেন পেদ্রো। শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে গোল করলেও উদ্যাপন করেননি তিনি। এরপর ফ্লুমিনেন্স বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি। একবার তো পেনাল্টি পেয়েও ভিএআর এর সিদ্ধান্তে তা বাতিল হয়।
বিরতির পর ম্যাচের ৫৬ মিনিটে আবারও গোল করেন পেদ্রো। এনজো ফার্নান্দেজের পাস পেয়ে ডিবক্সে ঢুকে একক চেষ্টায় দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। এই গোলেও সাবেক ক্লাবের প্রতি সম্মান রেখে উদ্যাপন করেননি।
এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ফ্লুমিনেন্স। চেলসি তাদের তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল। এর আগে ২০১২ সালে রানার্সআপ ও ২০২১ সালে শিরোপা জিতেছিল তারা।
ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বলেন, “এটা আমাদের জন্য দারুণ অর্জন। মৌসুমটা চমৎকার গেছে—লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, কনফারেন্স লিগ জিতেছি এবং এখন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলব। শেষ ম্যাচে লক্ষ্য একটাই—শিরোপা।”
https://slotbet.online/