অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে খোলা চিঠি লিখেছেন দেশটির ৬০ জন সংসদ সদস্য (এমপি)। এই চিঠিতে তারা গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের রাফার ধ্বংসস্তূপে গঠিত শিবিরে জোরপূর্বক স্থানান্তরের ইসরায়েলি পরিকল্পনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চিঠিতে এমপিরা উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি গাজার সব ফিলিস্তিনিকে রাফাহ শহরের ধ্বংসাবশেষে গড়ে ওঠা একটি অস্থায়ী শিবিরে সরিয়ে নিতে চান এবং তাদের উপত্যকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। এই ঘোষণাকে তারা “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের রূপরেখা” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ডের বক্তব্য তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, এই পরিকল্পনা মূলত গাজার জনসংখ্যাকে দক্ষিণে ঠেলে নিয়ে তাদের স্থায়ীভাবে নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের প্রস্তুতি। এমপিরা এটিকে সরাসরি “গাজায় জাতিগত নিধন” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চিঠির মাধ্যমে এমপিরা তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেছেন: ইসরায়েলের রাফাহ পরিকল্পনা প্রতিহত করা – যা তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে দাবি করেন।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়া – এমপিদের মতে, ব্রিটেনের উচিত দেরি না করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া, যা মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ হবে।
আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা – ইউরোপীয় দেশগুলোসহ অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে মিলে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
চিঠির আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য ব্রিটিশ এমপিদের উদ্যোগকে আরও জোরালো সমর্থন দেয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এই ধরনের সমন্বিত অবস্থান আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমা অবস্থানে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
https://slotbet.online/