রোগব্যাধি থেকে আশ্রয় চেয়ে কী দোয়া পড়বেন?

Reporter Name / ৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫


সুস্থতা যেমন আল্লাহর এক অমূল্য নিয়ামত, তেমনি অসুস্থতার মাধ্যমে তিনি আমাদের পরীক্ষা করেন। তাই সুস্থতা কিংবা অসুস্থতা; যেকোনো পরিস্থিতিতেই মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং তাঁর শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানের দায়িত্ব।

অসুস্থ হলে তা থেকে মুক্তির জন্য কোরআন ও হাদিসে কিছু দোয়া বর্ণিত হয়েছে। কোরআনে কারিমে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন; “প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে—যাতে তারা সফলকাম হয়।”
(সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)

আরেক আয়াতে বলা হয়েছে

“যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, তাদের আমি অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে আছেন।”
(সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৬৯)

হাদিসে রোগব্যাধি থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোয়া

রাসুলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন। আনাস ইবন মালিক (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) এই দোয়াটি পড়তেন, اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল যুজামি, ওয়া মিন সাইয়্যি’ইল আসক্বাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি শ্বেত (কুষ্ঠ) রোগ, উন্মাদনা (পাগলামি), খুজলি-পাঁচড়া এবং সব ধরনের জঘন্য রোগ থেকে।
(আবু দাউদ, হাদিস: ১৫৫৪)

অসুস্থতা ও গুনাহ মাফের সম্পর্ক

রোগব্যাধি দুনিয়াতে কষ্টের হলেও, এর মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।
হাদিসে এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি ও আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে যন্ত্রণা, রোগ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, কষ্ট বা দুঃখ আসে—even যদি একটি কাঁটাও শরীরে বিদ্ধ হয়—তাও আল্লাহ তার গুনাহ মোচনের উপায় করে দেন।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫২৩৯)

দোয়া কবুলের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত

১. হালাল, বৈধ ও পবিত্র জীবিকা গ্রহণ করা।
২. হারাম উপার্জন, যেমন—চাঁদাবাজি, প্রতারণা, মাপে-ওজনে কম দেওয়া, ভেজাল, খেয়ানত ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা।
৩. সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
৪. আল্লাহর নামসমূহ, বিশেষ করে ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করা।
৫. সৎকাজের আদেশ এবং অন্যায়ের নিষেধ করা।
৬. দোয়ায় কল্যাণমূলক ও উপকারী বিষয় কামনা করা।
৭. মনোযোগ সহকারে আন্তরিকভাবে দোয়া করা।
৮. দোয়ার ফলাফল পাওয়ার জন্য ব্যাকুল না হওয়া।
৯. দোয়া কবুলের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী থাকা।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/