[ad_1]
নিউজিল্যান্ডে নাগরিকদের ব্যাপক হারে দেশ ত্যাগের কারণে অর্থনীতি ও কর্মক্ষেত্রে সংকট তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার দুইটি নতুন স্থায়ী বসবাস (রেসিডেন্সি) পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক মন্ত্রী নিকোলা উইলিস এ ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী জানান, নতুন নিয়ম ২০২৬ সালের মধ্যভাগ থেকে কার্যকর হবে। প্রথম পদ্ধতিতে সুবিধা পাবেন সেই অভিবাসীরা, যাদের ভালো চাকরি, যথেষ্ট অভিজ্ঞতা এবং নির্দিষ্ট বেতন রয়েছে। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে সুযোগ পাবেন কারিগরি বা টেকনিক্যাল কাজে অভিজ্ঞ অভিবাসীরা, যাদের শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং ন্যূনতম বেতন ঠিক আছে।
অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড বলেন, এই নতুন পদ্ধতি দক্ষ অভিজ্ঞ কর্মীদের ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ট্রেডস ও টেকনিশিয়ান পথটি এমন খাতের জন্য তৈরি, যেখানে ব্যবহারিক দক্ষতার গুরুত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমান।
স্ট্যাটস এনজেডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ৭৩,৪০০ জন নিউজিল্যান্ড নাগরিক দেশ ত্যাগ করেছেন, তবে দেশে ফিরে এসেছেন মাত্র ২৫,৮০০ জন।
আগের পদক্ষেপে সরকার জানুয়ারিতে ভিজিটর ভিসার শর্ত শিথিল করে ‘ডিজিটাল নোমাড’ প্রবর্তন করে, যাতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত পেশাজীবীরাও সুবিধা পান। ফেব্রুয়ারিতে ‘অ্যাকটিভ ইনভেস্টর প্লাস ভিসা’ বা গোল্ডেন ভিসার শর্ত শিথিল করা হয়, যাতে ধনী বিদেশিরা সহজে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করতে পারেন।
বিজনেস নিউজিল্যান্ড নতুন পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট দলের নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স এর প্রতি আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, এটি লক্ষ্যহীন অভিবাসন প্রস্তাব। তিনি সতর্ক করেছেন, এমন নীতি দেশের নিয়োগদাতা, শিল্পখাত ও স্থানীয় কর্মীদের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং অযৌক্তিকভাবে অভিবাসন বাড়ালে ভবিষ্যতের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হবে।
[ad_2]
https://slotbet.online/