[ad_1]
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো একটি শিবমন্দির। মঠের আদলে নির্মিত এই মন্দির একসময় ভক্ত-পূণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকলেও বর্তমানে অযত্ন অবহেলায় ধ্বংসের মুখে। স্থানীয়রা মন্দিরটিকে ‘মঠ’ নামেই চেনে।
এক সময় এ মন্দিরে শিবপূজা উপলক্ষে জমত মেলা। চারপাশে থাকত উৎসবের আমেজ। কিন্তু এখন দেয়ালে শেকড় গেড়ে বসেছে পরগাছা, জায়গায় জায়গায় খসে পড়েছে ইট। ভেতরে জায়গা দখল করেছে পেঁচা, বাদুড়, ইঁদুরসহ নানা প্রাণী। চারপাশে দখল হয়ে উঠেছে বসতঘর, এমনকি মন্দিরের দেয়ালের পাশেই নতুন টিনের ঘর তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা, প্রায় দুই শতাব্দী আগে রাজা গোবিন্দ মানিক্যের শাসনামলে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। প্রাচীন কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গটি প্রায় ২৫ বছর আগে চুরি হয়ে যায়। একইসঙ্গে চুরি হয়েছে দক্ষিণমুখী লোহার দরজাও। ফলে প্রাচীন নিদর্শনটি আরও বেশি অবহেলার শিকার হয়েছে।
শতবর্ষী স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ ভট্টাচার্য জানান, তার ছোটবেলায় এ মন্দির ছিল প্রাণচঞ্চল, পূজা উপলক্ষে ভক্তদের ঢল নামত। স্থানীয় ডা. রথিন ভট্টাচার্যও জানান, একসময় এই গ্রামে ১৬টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতো। দেশভাগের পর অধিকাংশ হিন্দু পরিবার দেশ ছেড়ে চলে গেলে মন্দিরটি অযত্নেই পড়ে থাকে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা শেষে মন্দিরটি সংস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হবে। পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সেক্রেটারি আশীষ সিংহের মতে, কুমিল্লার বহু প্রাচীন মঠ ও মন্দির একইভাবে ধ্বংসের পথে, তাই সরকারের দ্রুত সংস্কার ও সংরক্ষণ উদ্যোগ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চাইলে এবং আনুষ্ঠানিক আবেদন করলে মন্দিরটি সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
[ad_2]
https://slotbet.online/