খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের পর এবার আট দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। অবরোধ চলাকালে সব পর্যটন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অবরোধের তথ্য জানানো হয়। অবরোধ চলাকালে সব পর্যটন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

দাবিগুলো হলো—
১. আলোচনার প্রারম্ভকাল থেকে পরবর্তী সময়ে পর্যন্ত যে কোনো প্রকার হামলা, সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে এবং সেই নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
২. ধর্ষণ মামলার অবশিষ্ট দুই আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে যথাযথ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামি চয়নশীলের বিচার ত্বরান্বিত করে দণ্ড কার্যকর করা এবং তা সরকারি গেজেটে বিজ্ঞাপন করে প্রকাশ করতে হবে। ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন (rehabilitation) নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ঘটে যাওয়া লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনাসহ সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ও সংবেদনশীল আইনানুগ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। এই বিষয়ে একটি অফিসিয়াল তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের ৩০ দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে।
৪. নিরীহ ও নিরস্ত্র জুম্ম ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত বর্বরোচিত হামলা, দোকানপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগে সৃষ্ট ক্ষতির পূর্ণ ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করতে হবে; পাশাপাশি আহত সবার সুচিকিৎসার দায়ভার জেলা/রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
৫. শান্তিপূর্ণ অবরোধ ক্ষুণ্ন করা বা জুম্ম আদিবাসীদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের পূর্ণ ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়সঙ্গত প্রতিকার দিতে হবে।
৬. চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আটককৃত সকল জুম্ম ছাত্র-জনতাকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সংঘটিত হামলাসমূহের স্বতন্ত্র, স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭. আলোচনা টেবিলে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ছাত্র-জনতা প্রতিনিধি এবং অন্যান্য সাধারণ জনগণ ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. ১৪৪ ধারা বাতিল করতে হবে।